পাঁচ মাস কাউন্সিলর নেই ১৩নং ওয়ার্ডে

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৩ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই আত্মগোঁপনে রয়েছেন মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। ধর্ষণ মামলায় ওয়ারেন্ট থাকায় নির্বাচনের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে রয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব খোরশেদ। নির্বাচনের পর ধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্ট নিয়েই পবিত্র ওমরা হজ্জ্ব পালন করেছেন খোরশেদ। খোরশেদ আত্মগোপনে থাকায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওয়ার্ডবাসী।

গত নাসিক নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতার অদৃশ্য শক্তিতে হেভিওয়েট প্রার্থী নির্বাচনকে থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এতে করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন ধর্ষন মামলার অআসামী খোরশেদ। কিন্তু বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই ওয়ার্ডবাসী পাশে না থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরব রয়েছেন তিনি।

এদিকে কাউন্সিলর না থাকায় নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ১৩নং ওয়ার্ডবাসী। ক্ষোভের সঙ্গে তারা জানান, পাঁচ মাস হলো আমাদের ওয়ার্ডে কোনো কাউন্সিলর নেই। যদি সচিব দিয়েই জনগনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা যেতো তবে কাউন্সিলর নির্বাচন না করে সচিবকেই নির্বাচনের রীতি চালু থাকতো। আমরা ওয়াসার পানি নিয়ে চরম দুরবস্থার মাঝে আছি। পানিতে বিশ্রি দুর্গন্ধ আর ময়লা। তাছাড়া মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। মসজিদে নামাজ পরতে গেলে কিংবা বাচ্চারা পড়তে বসলে মশার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। কাউন্সিলর না থাকায় আমরা এসব অভিযোগ জানাতে পারছি না। আর নগর ভবনে গিয়ে মেয়রের কাছে অভিযোগ জানানোটাও একটা বাড়তি ভোগান্তি। তাই সব সময় কাছে পাওয়া যায় এমন একজন কাউন্সিলর চাই আমরা।

জানাগেছে, কাউন্সিলর খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিদার সাঈদা আক্তার গত বছেরর ২৫ আগস্ট খোরশেদের বিাংদ্ধে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশ দেন। ২রা সেপ্টেম্বর পিবিআই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। গত ৮ নেভম্বর খোরশেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল।

প্রদিবেদন দাখিলের পর খোরশেদকে গ্রেফতার করতে আদালত ওয়ারেন্ট ইস্যু করলে হাই কোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। নির্বাচনের দুইদিন আগে গত ১৪ জানুয়ারী জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও আর আত্মসমর্পণ করেনি খোরশেদ। এর আগে গত বছরের ১৬ই মে রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় কাউন্সিলর খোরশেদ ও রেহানা আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন সাঈদা আক্তার। ওই মামলায় পুলিশ খোরশেদ ও রেহানা আক্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ (চার্জশিট) পত্র দিয়েছে। এই মামলায় আদালত চার্জ গঠন করেছে।

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ