‘আজাদ-রিফাত ফাইবার্স’ এর মালিককে হুমকি, থানায় অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ মেইল: ফতুল্লায় মোঃ মনিরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ৫৮ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, “আজাদ-রিফাত ফাইবার্স প্রাইভেট লিমিটেড” এর কর্ণধার আলহাজ্ব মোঃ কাশেম পরিবারকে হুমকি প্রদান সহ মোঃ হাজী শফিউদ্দিন ও তার দুই ছেলেকে মারধর এবং আটকে রেখে ৫৮ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন মোঃ মনিরুল ইসলাম। এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগ দায়ের করেছেন ভোক্তভোগী দুটি পরিবার।

সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৩) পিতা মৃত জাবেদ আলী খান, গ্রাম উত্তর সুবিদখালী, থানা মির্জাগঞ্জ, জেলা পটুয়াখালী। বর্তমান ঠিকানা রামারবাগ, কাসেম সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া, থানা ফতুল্লা, জেলা নারায়ণগঞ্জ, বাদী সাধারন ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন, মোঃ মনিরুল ইসলাম (৪০) পিতা মৃত হাজী শফিকুল ইসলাম, বর্তমান ঠিকানা ৫১ শেরে বাংলা লিংক রোড, মাসদাইর, থানা ফতুল্লা, জেলা নারায়ণগঞ্জ এর বিরুদ্ধে এই মর্মে সাধারণ ডায়েরির আবেদনে লিখেছেন যে, আমি উল্লেখিত বর্তমান ঠিকানায় আমার পরিবারবর্গ বসবাস করছি, অত্র থানাধীন রামারবাগ এলাকায় “আজাদ রিফাত ফাইবার্স প্রাইভেট লিমিটে “ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছি। উল্লিখিত বিবাদী বিগত ১০ থেকে ১৫ দিন যাবত অত্র প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক, জনাব আলহাজ্ব মোঃ কাশেম সাহেব ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হুমকি প্রদান করছেন যে, উল্লেখিত বিবাদী তাদের শারীরিক মানসিক আর্থিক ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার রটাচ্ছেন। বিবাদী উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিসাধন করার জন্য বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে আমার প্রতিষ্ঠানের মালিক জানতে পারেন।

তিনি আরো লিখেছেন যে, গত ০১.০১.২০২১ তারিখ সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার সময় আমার মালিক প্রতিষ্ঠানে থাকা অবস্থায় উল্লিখিত বিবাদী মোঃ মনিরুল ইসলাম (৪০) আমার মালিককে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করে চলে যায়। আমার মালিক আশঙ্কা করছে যে, উক্ত বিবাদী আমার মালিক-সহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে। এমতাবস্থায় বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

বিবাদী মোঃ মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একইদিনে হাজী শফিউদ্দিন (৬৫) পিতা-মৃত আঃ খালেক বেপারী গ্রাম ৮৩/১ ব্লক-বি, শেরে বাংলা লিংক রোড, আল আমিন মসজিদ, মাসদাইর, থানা ফতুল্লা, জেলা নারায়ণগঞ্জ, থানায় হাজির হয়ে অভিযোগে লিখেছেন, বিবাদী ১। মোঃ মনিরুল ইসলাম (৪০) পিতা মৃত হাজী শফিকুল ইসলাম, ৫১ শেরেবাংলা লিংক রোড, মাসদাইর, ২। মোঃ শফিকুল ইসলাম সনি (৪০), পিতা অজ্ঞাত, ৩। মনির হোসেন (৪১) পিতা অজ্ঞাত, উভয় সাং জামতলা ধোপাপট্টি, সর্ব থানা ফতুল্লা, জেলা নারায়ণগঞ্জ, সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগে লিখেছেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন টানবাজার এলাকায় “এইচ.এম এন্টারপ্রাইজ” নামক সুতার দোকানে আমার বড় ছেলে ১। মোঃ মেহেদী হাসান (৩৫) ও মেজো ছেলে ২। মোঃ সুজন আহমেদ মহসিন (৩২) পরিচালনা করে আসছে।

তিনি অভিযোগে আরো লিখেছেন, গত ২৩.১২.২০২০ তারিখ রাত অনুমান ৮.৩০ ঘটিকার সময় ১ নং বিবাদী তার লোক মারফতে আমার দুই ছেলেকে বিবাদীর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। আমার দুই ছেলে ১নং বিবাদীর বাড়িতে যাওয়া মাত্র বিবাদী সহ আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আমার দুই ছেলেকে ১নং বিবাদীর বাড়ির একটি রুমে আটকে রেখে এলোপাথারি মারধর করে গুরুতর আহত করে, হুমকি প্রদান সহ ৫৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন।

আমার দুই ছেলে বিষয়টি আমাকে জানালে, আমি কোন উপায় না পেয়ে, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে সুতা বিক্রি করে ও নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা এবং প্রিমিয়ার ব্যাংক লিঃ নারায়ণগঞ্জ শাখার চেক নং (সিডিবি-৮৪৫৩০৯৩) মুলে ৬ লক্ষ টাকা চেক বিবাদীকে প্রদান করলে রাত অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় আমার ছেলেদের ছেড়ে দেয়। আমার দুই ছেলের নিকট থেকে বিস্তারিত জেনে বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ আত্মীয়স্বজনদের সাথে আলোচনা করে অভিযোগ করতে বিলম্ব হয়েছে।

ভোক্তভোগীরা বিবাদী মোঃ মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ