নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আওতাধীন ফতুৃল্লা থানা যুবদলের ‘আহবায়ক’ এবং ‘ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক’ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান ঘটেছে। সংগঠনের আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিলো যার অবসান ঘটেছে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির বক্তব্যে।ঘটনা সূত্রে প্রকাশ, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহবায়ক হলেন মাসুদুর রহমান মাসুদ। গত ১৭ অক্টোবর তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। এরপর প্রথম যুগ্ম আহবায়ক ইসমাইল খানতে ভারপ্রাপ্ত আহবায়কের দায়িত্ব দেয় জেলা যুবদল। ইসমাইল খানও পুলিশের হাতে আটক হলে ২য় যুগ্ম আহবায়ক আ: খালেক টিপুকে ভারপ্রাপ্ত আহবায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। ৩০ নভেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন মাসুদুর রহমান মাসুদ কিন্তু এরপর অনুষ্ঠানিকভাবে আর তাকে আহবায়কের দায়িত্ব ফিরিয়ে দেয়া হয়নি ফলে ভারপ্রাপ্ত আহবায়কগন তাদের ইচ্ছে মতো পদ পদবী ব্যবহার করতেন। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
গত ২৭ জানুয়ারি ছিলো নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দেয়া বিএনপির প্রথম কর্মসূচি কালো পতাকা মিছিল। ঢাকার পল্টনে আয়োজিত এই কর্মসূচিতেও একই বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা গেছে। আহাবায়ক উপস্থিত থাকলে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কি করে হয় সে প্রশ্ন ছিলো নেতাকর্মীদের মাঝে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি নারায়ণগঞ্জ মেইলকে বলেন, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ পুলিশের হাতে আটক হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক করা হয়েছিলো। উনি কারামুক্ত হয়ে যাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক থাকার আর কারো সুযোগ নাই। মাসুদুর রহমান মাসুদই থানা যুবদলের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। এ বিষয়ে অন্য কিছু ভাববার অবকাশ নাই।