না:গঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের অকৃত্রিম বন্ধু শিখন সরকার

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের অকৃত্রিম বন্ধু শিখন সরকার শিপন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কোনো প্রকার উৎসব উদযাপন কিংবা হিন্দুু ধর্মের সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে দিনরাত খেটে চলেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন। করোনাকালীন সময়ে যখন ভয়ে কেউ ঘর থেকে েেবর হতে সাহস করেনি, তখনও শিখন সরকার নারায়ণগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে বেড়িয়েছেন। আর তাই একেবারে হতদরিদ্র হিন্দু সম্প্রদায় থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ নেতৃত্ব আর প্রশাসনের শীর্ষ পর্র্যায়েও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন পরিশ্রমি এই নেতা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদ্য শেষ হওয়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব মহাতীর্থ লঙ্গলবন্দের স্নান উৎসব সফল করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন জেলা পূূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন। জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপনের প্রস্তুতি সভায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান স্নান উৎসব আয়োজনে সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপনকে। এ দায়িত্ব পেয়ে স্নান শেষ হওয়া পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম করে কোনো প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবারের স্নান উৎসরে সফল পরিসমাপ্তি করেছেন। করোনার কারনে দুই বছর বন্ধ থাাকায় এবার লাখো পূণ্যার্থীর মিলনমেলায় পরিপূূর্ণ ছিলো নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলাধীন লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদ প্রাঙ্গণ। এ বিশাল আয়োজনকে নির্বিঘ্ন করতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিআইডব্লিউটিএ, কোষ্টগার্ডসহ সর্বোপরি নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের জনসাধারনের সাথে সমন্বয় সাধন করে এ মহাজজ্ঞ পরিচালনা করেছেন পুজা পরিষদের এই নেতা। অনুষ্ঠান শুরুু হওয়ার অনেক আগে থেকেই লাঙ্গলবন্দেই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রস্তুতিকার্য চালিয়ে গেছেন আর অনুুষ্ঠানের দুুইদিনে তার কর্মকান্ড যারা স্বচক্ষে দেখেছেন তারা বলতে পরবেন কি পরিমান পরিশ্রম করেছেন তিনি।

এছাড়াও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা আয়োজনের বিষয়েও অগ্রনী ভুমিকা পালন করে থাকেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন। বিশেষ করে নারায়য়ণগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুুলোতে যেসয পূজা মন্ডপ করা হয়ে থাকে সেসব মন্ডপগুলির সুবিধা অসুুবিধায় এবং তাদের আর্থিক সামাজিকসহ সব ধরনের সমস্যা সমাধানে সবার আগে এগিয়ে আসেন শিখন সরকার। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জের সাংসদ ভ্রাতৃদ্বয়ের কাছ থেকে পূজা মন্ডপের জন্যে অনুদান সংগ্রহ করে দেয়া, সরকারী চাল বিলিবন্টন করাসহ সকল প্রয়োজনে পাশে থেকে সহযোগিতা করেন এই হিন্দু নেতা। এছাড়াও কোনো মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটলে, কোনো মন্দির কিংবা এ সংশ্লিষ্ট কোনো জায়গা জমি জবরদখলের চেষ্টা করা হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদের ঝড় তুলেন তিনি। সকল হিন্দু সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দাবি আদায় করেন। নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী জিউস পুকুর দখলমুুক্ত করতে প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন তিনি। সিদ্ধিরগঞ্জের নিউ লক্ষ্মীনারায়ন কটন মিলে দূর্গা পূজা আয়োজনে বাঁধার সৃৃষ্টি হলে প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে তা নিরসন করে দিয়েছেন শিখন সরকার। নারায়ণগঞ্জের পুরো হিন্দু সম্প্রদায়কে এক সুতায় গেঁথে রেখেছেন শিখন সরকার শিপন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ