নারায়ণগঞ্জ মেইল: রাত পোহালেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন। অথচ আগের রাতে, অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের কাউন্সিলর নারায়ণগঞ্জের মডেল গ্রুপের কর্ণধার মাসুদুজ্জামান। তিনি ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রিকেট ক্লাবস’ ক্যাটাগরি-২ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। ব্যক্তিগত কারণে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। এক বিবৃতিতে মাসুদুজ্জামান নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (৬ অক্টোবর) বিসিবি নির্বাচন। শুরুতে তুমুল উত্তেজনার আভাস থাকলেও দুই দিনে তিন প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন। যার সবশেষ মাসুদুজ্জামান। নতুন পরিচালনা পরিষদকে আগাম অভিনন্দন জানিয়ে তিনি সব ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে সর্বদা বোর্ডের পাশে থাকার এবং সাধ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তিন ক্যাটাগরির মধ্যে বিসিবি নির্বাচনে ক্লাব ক্যাটাগরিতেই জমজমাট ও হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। সবচেয়ে বেশি ১২ পরিচালক নির্বাচিত হবেন এখান থেকে। এবার ১২ পদের জন্য লড়ার কথা ছিল ১৬ প্রার্থীর। ১৭ প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিলেও শেষ দিনে শওকত আজিজ রাসেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আর নির্বাচনের আগের রাতে মাসুদুজ্জামান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন। যদিও নির্বাচনি ব্যালটে তার নাম থাকবে।
এদিকে ঢাকা বিভাগের দুটি পদের জন্য লড়াই হতো মূলত চারজনের। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার কয়েকদিন পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন খালিদ হোসেন। আঞ্চলিক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি- ক্যাটাগরি ১-এ পরিচালক পদে নির্বাচনের জন্য ঢাকা বিভাগ থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মাদারীপুরের এই সংগঠক। অন্যদিকে ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে মনোনয়নপত্র কেনা সৈয়দ আশফাকুল ইসলামও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যার ফলে তানভীর আহমেদ টিটু (নারায়ণগঞ্জ) ও নাঈমুর রহমান দুর্জয় (মানিকগঞ্জ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হতে যাচ্ছেন।
মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ের বোর্ড রুমে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। করোনার কারণে অনেক কাউন্সিলরই সরাসরি ভোট দিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। সব মিলিয়ে ১৭ কাউন্সিলরের মধ্যে ৬৬ জন পোস্টাল ব্যালট এবং ৮ জন ই-ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ চেয়েছেন। তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ৫৭ কাউন্সিলরকে সেই সুযোগটা দিয়েছে।