ক্রিকেটার রনির বিরুদ্ধে ওসমান পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ



নারায়ণগঞ্জ মেইল: বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ফতুল্লার কুতুবপুর নিবাসী রনি তালুকদারের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের আমলে ওসমান পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে সাংসদ শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান ও নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের নাম ব্যবহার করে ফতুল্লার বিভিন্ন শিল্প মালিকদের কাছে চাঁদাবাজিসহ নিরিহ অনেক লোকের জায়গা সম্পত্তি দখলের অভিযোগ এই ক্রিকেট খেলোয়ারের বিরুদ্ধে। রনি তালুকদারের বিচারের দাবিতে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েকদিন যাবত প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান দোলন গত মঙ্গলবার ২৭ আগষ্ট রনি তালুকদারের সাথে আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমানের ছবি দিয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেন “আওয়ামী পেতাত্মা রনি তালুকদার ফতুল্লার কলঙ্ক গডফাদার দের ছত্রছায়ায় ফতুল্লা থানা অন্তর্গত কুতুবপুর ইউনিয়নে বৈরাগী বাড়ি এলাকায় জুট সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে এই ক্রিকেটার নামের সন্ত্রাসী এবং তার ভাইয়েরা বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত, একে আইনের আওতায় আনা হোক ছাত্র সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি”।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রনি তালুকদারের সাথে ঘনিষ্ঠতা ছিলো নারায়ণগঞ্জের কুখ্যাত ওসমান পরিবারের দুই পুত্র অয়ন ওসমান ও আজমেরী ওসমানের। এদেও ছত্রছায়ায় ফতুল্লা এলাকায় গড়ে তোলেন একটি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিতেন তার ভাই জনি তালুকদার, ইউপি মেম্বার ইমান আলী, আরিফুর রহমান অরিফ, সুমন বাড়ৈ প্রমূখ। এদের দিয়ে রনি তালুকদার ফতুল্লার বিভিন্ন গার্মেন্টস্ থেকে অয়ন ও আজমেরীর ভয় দেখিয়ে ঝুটসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যেতেন। তাছাড়া ওসমান পরিবারের এই দুজনকে দিয়ে তারা বিভিন্ন মানুষের জায়গা সম্পত্তিও দখল করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতোদিন ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি তবে এবার সরকার পতনের পর ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছে।


স্থানীয় একজন অধিবাসী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, রনি তালুকদার ক্রিকেট খেলোয়ার কিন্তু তার চলাফেরা উঠাবসা ছিলো নারায়ণগঞ্জের গডফাদারদের সাথে। বিভিন্ন সময়ে এই পরিবারের সদস্যদের সাথে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করতেন। এর ফলে আমরা রনি ও তার পরিবারকে খুব ভয় পেতাম। তাছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও রনি অংশ নেননি বরং এর বিরোধীতা করেছে। তার ভাই ও সহযোগীরা আমাদেও সব সময় ওসমান পরিবারের ভয় দেখাতো। আজ আমরা স্বধীন হয়েছি তাই মুখ ফুটে বলতে পারছি এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের বিচার চাই।


এদিকে ওসমান পরিবারের পা চাটা রনি তালুকদারকে বাঁচাতে ফতুল্লা বিএনপির একটি অংশ উঠেপরে লেগেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর সাথে বড় অঙ্কের লেনদেনের গুঞ্জনও হাওয়ায় ভাসছে। আর তাই দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ রনি তালুকদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে অসহায় কুতুবপুরবাসী।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে রনি তালুকদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তাদেরকে বলেন প্রমাণ দিতে। আমি একজন খেলোয়ার, আমি কোনো প্রকার চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ