নারায়ণগঞ্জ মেইল: দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের জেলা বিএনপি’র আহবায়ক পদ বাতিল করা হয়েছিলো। গতকাল সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টার পদ থেকেও তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এবার বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান নারায়ণগঞ্জ মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনা সুত্রে প্রকাশ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা হচ্ছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়া। সারাদেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনো দলীয় প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। এমনকি দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা নিতে পারবে না বলেও প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলো দলটি। এমতাবস্থায় দলীয় নির্দেশ অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে তিনি বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছেন। এদিকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না থাকায় নেতাকর্মীরা তৈমুরের আহবানে সাড়া দিতে পারছেন না।
সূত্র মতে, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয় প্রতীকে অংশ নেবে না দলটি। সেই হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়নি দলটি। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তকে উপক্ষো করে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হয়েছেন এড. তৈমূর আলম খন্দকার। এতে করে তার উপর প্রতি ক্ষুদ্ধ দলীয় হাই কমান্ড ইতিমধ্যেই তাকে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এবং চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে অপসারণ করে দিয়েছে। কারন তৈমূর আলম বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিলেন। বর্তমানে বিএনপির হাই কমান্ড অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু তৈমূর আলম দলীয় প্রধানের কথা চিন্তা না করে নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তার কাছে দল নয় বরং নিজের স্বার্থটাই বড় মনে করেছেন। যেখানে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি সেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ন পদে থেকেও তিনি নির্বাচন করছে। এতে করে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করেছেন। আর তাই তার বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিএনপির হাই কমান্ড।