নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। প্রথমবার যখন পাস করেছিলেন ২০০৩ সালে তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো। এরপরে দুইবার কাউন্সিলের নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রবিউল হোসেনকে পরাজিত করে।
গত দুই সিটি নির্বাচনে ১৩নং ওয়ার্ডের ফলাফলে বিস্মিত হয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটাররা পর্যন্ত। আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী রবিউল হোসেনের এ ধরনের পরাজয় সন্দেহের জন্ম দেয় অনেকের মনে। বিএনপি করেও খোরশেদের বারবার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ঘটনাকে অনেকেই সোজাভাবে দেখেননি। সরকারি দলের প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়া ছাড়া এভাবে বারবার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করেছিলেন নেটিজেনরা। এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীদের মনেও এই নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল।
নেতাকর্মীদের সেই ধারণা সত্যে পরিণত হতে দেরি লাগে নি। খোরশেদের চতুর্থ নির্বাচনে এসে তার বারবার বিজয়ী হওয়ার গোমর ফাঁস হয়ে যায়। এই নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল হোসেন লোকচক্ষুর অন্তরালে গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। রবিউলের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর থেকে চাপা গুঞ্জন সত্যে পরিণত হয়। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বুঝতে বাকি থাকে না কোথাকার জল কোথায় গিয়ে গড়াচ্ছে। কারণ কোনো উপর মহলের নির্দেশ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল হোসেন মাঠ ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিলেন না। আর সেই উপরমহলের ঘনিষ্ঠজন এখন মেয়র প্রার্থী তৈমুর। যিনি নিজের ভাইকে কাউন্সিলর নির্বাচিত করতে সেই উপর মহলের শরণাপন্ন হয়েছেন। আর সেই উপরমহলের ইশারায় তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের জয়ের পথ মসৃণ করতে রবিউল হোসেনকে পথ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন সচেতন নারায়ণগঞ্জবাসী। আর এভাবেই সেই উপর মহলের ছত্রছায়ায় গত দুইবার তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন বলে নিশ্চিত হয়েছে ১৩ নং ওয়ার্ডের ভোটাররা।