নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততোই উত্তাপ বাড়ছে নগরজুড়ে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন প্রচার প্রচারণা। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা না। তারপরেও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এদিকে ভোটাররাও প্রার্থীদের বিগত দিনের কর্মকাণ্ডের চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ করে চলেছেন যাতে যোগ্য ব্যক্তিকে তাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে বিজয়ী করতে পারেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খোরশেদ এবারো এই ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন। যদিও তার বিরুদ্ধে চলমান রয়েছে একটি ধর্ষণ মামলা। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক রাজনৈতিক নাশকতার মামলা ছিলো তবে এসব রাজনৈতিক নাশকতার মামলা ভোটাররা তেমনভাবে আমলে নেয়নি। তবে এবার ধর্ষণ মামলার আসামিকে নির্বাচন করার বিষয়ে দোটানায় পরেছেন খোরশেদ অনুসারীরাও। আর সাধারণ ভোটাররাতো খোরশেদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এক নারী কেলেঙ্কারিতে খোরশেদের সাজানো বাগান তছনছ হয়ে গেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা করেন। আদালত মামলাটির তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে কিছুদিন পাড়িয়ে দেবে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন খোরশেদ।