নারায়ণগঞ্জ মেইল: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সুচিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। ঢাকায় পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বসে হাজার হাজার নেতাকর্মী গণ অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। একইভাবে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে বসে গণঅনশনের মাধ্যমে দলীয় চেয়ারপারসনের সুচিকিৎসার দাবি করেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিও গণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছে, তবে সেটা কোনো রাজপথে বসে নয়। জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের মাসদাইরস্থ বাসভবনের চার দেয়ালের ভেতরে এই গণ-অনশন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
রাজপথের পরিবর্তে ঘরের চার দেয়ালের ভেতরে গণ অনশন কর্মসূচির আয়োজন করায় জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। ঘরের ভেতর আয়োজন হবে জেনে অনেক নেতাকর্মী কর্মসূচিতে যোগ দেননি। দায়সারতে এসেছিলেন কেউ কেউ, এসে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে গেছেন।
কর্মসূচীতে অংশ নেয়া জনৈক কর্মী ক্ষোভে ফুঁসতে ফুঁসতে বলেন, ঘরের ভেতর কর্মসূচি পালন করে বেগম খালেদা জিয়াকে কোনদিন মুক্ত করা যাবে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে সাহসী নেতার খুবই অভাব। বিশেষ করে যারা নেতৃত্বে আছেন তাদের কারো সাহস নেই রাজপথে কর্মসূচি পালন করার। তাইতো চার দেয়ালের ভেতরে চুপিচুপি দায়সারা কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। আমরা তৃণমূল নেতাকর্মীরা এ ধরনের ফটোসেশনের নাটক কোনভাবেই মেনে নেব না। আমরা চাই দুর্বার প্রতিরোধ যাতে আমাদের নেত্রী আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়াকে এই জালিমের কারাগার থেকে মুক্ত করতে পারি।
কর্মসূচিতে এসেছিলেন কিনা জানতে চাইলে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের এক নেতা বলেন, কর্মসূচিতে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু ঘরের ভেতর গণ-অনশন হবে জানতে পেরে আর যাইনি। যদি বাড়িতে বসেই অণশন করতে হয়, তাহলে তৈমুর আলম খন্দকার সাহেবের বাড়িতে অনশন করবো কেনো, নিজের বাড়িতেই বসে অনশন করবো। এ ধরনের কর্মসূচি কে ধিক্কার জানাই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, নাসির উদ্দিন, আব্দুল হাই রাজু, লুৎফর রহমান আব্দু, নজরুল ইসলাম পান্না, সদস্য এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, মোশারফ হোসেন, ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, জুয়েল আহমেদ, একরামুল কবির মামুন, রুহুল আমিন, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, রহিমা শরীফ মায়া,জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি রাসেল মাহমুদ, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহমুদুল্লাহ লিটন, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজিব প্রমূখ।