নারায়ণগঞ্জ মেইল: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকাল দশটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন থানা উপজেলার নেতৃবৃন্দ এবং জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়কগণ বক্তব্য দেওয়ার শেষে সভাপতির বক্তব্য শুরু করেন আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। বক্তব্য শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সমাবেশস্থলে আসে। পুলিশকে দেখে তড়িঘড়ি করে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। বিক্ষোভ সমাবেশের মূল ইস্যু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দিক নির্দেশনামূলক কোনো বক্তব্যই তিনি রাখতে পারেননি সমাবেশে। পুলিশের ভয়ে তাড়াতাড়ি সমাবেশ শেষ করে নেতাকর্মীদের নিয়ে পালিয়ে যান তৈমুর, যা দূরদূরান্ত থেকে সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদেরকে হতাশ করেছে।
সুদূর আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়ার দুর্গম এলাকা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপি’র এক কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেকদিন পর জেলা বিএনপি’র একটি কর্মসূচিতে অংশ নিতে সেই ভোর ছয়টায় রওনা দিয়ে চাষাড়া এসে পৌঁছেছি। আশা ছিল সমাবেশে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার দেশব্যাপী চলমান নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এবং আমাদের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জ্বালাময়ী ভাষণ দেবেন। কিন্তু পুলিশ দেখামাত্রই যেভাবে তিনি বক্তব্য শেষ করে সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করে লেজ গুটিয়ে পালালেন, তা আমাদেরকে চরমভাবে হতাশ করেছে। এভাবে ভয় পেয়ে পালিয়ে গেলে আমরা কোনদিনও দেশ মাতাকে মুক্ত করতে পারব না। আমরা সাহসী নেতৃত্ব চাই জেলা বিএনপিতে, যারা পুলিশের হামলা মামলাকে উপেক্ষা করে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে কর্মীদেরকে উৎসাহ যোগাবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে আরোও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, নাসির উদ্দিন, আব্দুল হাই রাজু, লুৎফর রহমান আব্দু, নজরুল ইসলাম পান্না, সদস্য এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, মোশারফ হোসেন, একরামুল কবির মামুন, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।