শামীম ওসমান: আ’লীগ নেতাকর্মীর আস্থার বাতিঘর

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে শামীম ওসমান অদ্বিতীয়। বিশাল কর্মীবাহিনীই শামীম ওসমানের প্রধান অস্ত্র। কেননা শামীম ওসমানের এক ডাকে লাখ লাখ কর্মী নারায়ণগঞ্জে রাজপথে নেমে আসেন। বিগত সময়ে বার বার নিজের অবস্থান জানান দিয়ে আছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান অদ্বিতীয় তা বার বার প্রমাণ করেছেন। একমাত্র শামীম ওসমানই শহরে তাক্ লাগানো জনসমাবেশ করতে সফল হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জে শামীম মত বড় সমাবেশে অন্য কোন নেতা করতে পারেনি বা আগামীতেও কেউ পারবে কিনা এনিয়ে প্রশ্ন রয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

শামীম ওসমান ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওসমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অবস্থান হারানোর পরে, তিনি ভারত এবং কানাডায় আত্ম-গোপনে চলে গিয়েছিলেন। প্রায় আট বছর পর, ২০০৯ সালের এপ্রিলে তিনি নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসেন, যখন বাংলাদেশ আওয়মী লীগ দল ক্ষমতায় ফিরেছিল। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নিবাচনে বিজয়ী হন। পরবর্তিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিপুল ভোটে টানা দ্বিতীয় বারের মত সাংসদ নির্বাচিত হন। শামীম ওসমান সপ্তম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য।

তবে সংসদ সদস্য ছাড়াও বিশাল কর্মীবাহিনী থাকার কারণে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান গড়ে উঠেছে। তার কারণেই বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছিল জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা। ঐ সময় শামীম ওসমানের নির্দেশে তার কর্মীরা রাজপথে থেকে শিবিরের নাশকতা ঠেকিয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যেমন শামীম ওসমান অদ্বিতীয় তেমনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই ওসমান পরিবার গুরুত্ব বহন করে আসছে। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পাশে দাঁড়ানো, ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিশোধ, পরবর্তীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং নির্বাচনে জয়ী হওয়াসহ নির্দেশিত সকল গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালনে অত্যন্ত দৃঢ় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এই ওসমান পরিবার।

ওসমান পরিবার ১৯৩৫ সালে চাষাঢ়া রেললাইন সংলগ্ন স্থানে গড়ে তোলেন ঐতিহাসিক বায়তুল আমান ভবন। বঙ্গবন্ধুর পদচারণায় সিক্ত এ ভবনটিতেই ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীনতায় নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তার পূর্বে ১৯৪৬ সালে খান সাহেব ওসমান আলী ঢাকার নবাব হাবিবুল্লাহর জামানত বাজেয়াপ্ত করে এমএলএ নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই থেকে শুরু। পরবর্তীতে তার পুত্র একেএম শামছুজ্জোহা, নাসিম ওসমান, সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান পরম্পরায় তিন পুরুষ ধরে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। আর ওসমান পরিবারের রাজনৈতিক ইতিহাসের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন সাংসদ শামীম ওসমান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ