নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বের উপর আর আস্থা রাখতে পারছে না তৃণমূল। সংগঠনের সভাপতি এড. আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার পরিবর্তে বিতর্কিত নেতাদের প্রশ্রয় দেওয়ার কারনে বেহাল অবস্থায় রয়েছে মহানগর বিএনপির কার্যক্রম। সভাপতি অসুস্থ্যতার অজুহাতে কোন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না আর সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালতো দেশের বাইরে সুদুর আমেরিকায় অবস্থান করছেন বছর পার হতে চললো। তাছাড়া এ দুই শীর্ষ নেতার কারনে সরকারী দলের সাথে আতাঁত করার অভিযোগ থাকা নেতাদেরও মহানগর বিএনপির শীর্ষ পদে দেখা যাচ্ছে। সব কিছু মিলিয়ে নেতাকর্মীদের কাছে কালাম-কামালের মহানগর বিএনপি এখন বিতর্কিতদের আশ্রয়স্থলের পরিনত হয়েছে।
সূত্রে প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাশেম শকু, দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকারসহ একাধীক নেতা পদ পদবীতে বিএনপি ব্যবহার করলেও বিএনপি’র কোন আন্দোলন সংগ্রামে কখনো অংশ নেননি বরং সরকারী দলের এমপিদের সাথে ছিলো তাদের উঠা বসা। এমনকি গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় প্রতীক ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে না থেকে প্রকাশ্যেই অবস্থান নিয়েছিলেন সরকারী দলের প্রার্থীর পক্ষে। দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেয়া এসব নেতাদের বিরুদ্ধে তাই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী উঠেছিলো তৃলমূলে। দল থেকে এসব নাম সর্বস্ব নেতাদের বহিস্কারের দাবীতে অনঢ় ছিলো নেতাকর্মীরা। আশা করেছিলো কমিটি পূণর্গঠনের সময়ে বাদ দেয়া হবে এসব বেঈমান নেতাদের। সেই সাথে এসব নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. আবুল কালামের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিলো তৃণমূলের। দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন সংগ্রামে অনুপস্থিত থেকে এড. আবুল কালাম এ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে অভিমত নেতাকর্মীদের। তাছাড়া কালামের প্রশ্রয়েই মুকুল শকুরা দলের মধ্যে থেকে দলের বিরোধীতা করেছেন বলেও অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ওয়ান ম্যান শো নেতা এটিএম কাশালকে মহানগর বিএনপির মতো বৃহৎ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক করা কেন্দ্রের বিরাট বড় ভুল ছিলো বলে মনে করে তৃণমূল। রাজনীতিতে যার একটিও কর্মী তৈরী হয়নি সে কি করে একটি সংগঠনের নেতৃত্ব পায় সে প্রশ্ন এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের মুখে মুখে। রাজনীতি থেকে নিজের আখের গুছিয়ে দল ও দলের নেতাকর্মীদের চরম বিপদের মুখে ফেলে রেখে সুদুর আমেরিকায় নিরাপদ জীবন যাপন করছেন এখন কামাল। এছাড়া দলের সহ সভাপতি এড. জাকির হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ: সবুর সেন্টু আর সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু তৃণমূলকে সংহঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন বরং এড. আবুল কালামের প্রেসক্রিপশনে বিতর্কিতদের নিয়েই দায়সারাভাবে সংগঠন চালাচ্ছেন। তাই বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নেতৃত্ব চায় মহানগর বিএনপির তৃণমূল।