নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. তৈমূর আলম খন্দকার আর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন তৈমূরের সহোদর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, দুই ভাইয়ের যে কোন একজনকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হবে, একসাথে তাদের দুইজনের নেতৃত্বে আসার আসার সম্ভাবনা নেই। তাই তৈমূর জেলা বিএনপির হওয়ায় কপাল পুড়লো খোরশেদের এটা নিশ্চিত।
সূত্রে প্রকাশ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের ব্যর্থতা ও অপারগতায় জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর। আর চলতি বছরের প্রথম দিন ঘোষনা করা হয় জেলা বিএনপির ৪১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি। আর সে কমিটি আহবায়ক করা হয় এড. তৈমূর আলম খন্দকার।
এদিকে জেলা বিএনপির মতো নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটিও সভাপতি সেক্রেটারীর চরম ব্যর্থতায় ভেঙ্গে দেওয়ার কথা ছিলো কিন্তু কমিটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলা চলমান থাকায় এখনো বহাল আছে সে ব্যর্থ কমিটি। তবে খুব শীঘ্রই মামলার নিস্পত্তি করে ভেঙ্গে দেয়া হবে মহানগর বিএনপির কমিটি আর সে ক্ষেত্রে আসতে পারে নতুন এবং তারুণ্য নির্ভর নেতৃত্ব- এমনটাই জানা গেছে বিএনপির বিভিন্ন সূত্র থেকে।
এড. আবুল কালাম আর এটিএম কামালের ব্যর্থ নেতৃত্বের অবসান ঘটিয়ে নতুনরূপে মহানগর বিএনপির কমিটিকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে। খোরশেদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যেভাবে মহানগর যুবদল আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, তারই ধারাবাহিকতা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে সৃষ্টির লক্ষ্যে খোরশেদকেই মহানগর বিএনপির সেক্রেটারীর পদে যোগ্য ভাবা হয়েছিলো।
মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়া যখন প্রায় নিশ্চিত তখনই সেখানে বাধ সাধেন তারই আপন বড় ভাই বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকার। কারন বহু আগে জেলা বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে অভ্যস্ত তৈমূর আলমকে পুনরায় জেলা বিএনপির আহবায়ক হয়ে নিজের ভাইয়ের সর্বনাশ ডেকে আনলেন। কারন তৈমূরকে জেলা বিএনপির করায় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে নাম কাটা গেছে খোরশেদের। এক বাড়িতে দুই ভাইকে নেতৃত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় বিএনপি। আর তাই তৈমূরের কারনে এবার কপাল পুড়তে যাচ্ছে ছোট ভাই খোরশেদের।