নারায়ণগঞ্জ মেইল: পুলিশের ভয়ে নেতাকর্মীদের ফেলেই পালিয়ে গেলেন না’গঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এবং তার ছোট ভাই মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপি’র বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করার দুমিনিটের মাথায় পুলিশের ভয়ে নেতাকর্মীদের ফেলে দ্রুত পালিয়ে যান দুই ভাই। দুই ভাইকে এভাবে পালাতে দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
এর আগে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে নেতাকর্মীরা জড়ো হলে পুলিশ দুই মিনিট সময় বেঁধে দেয় জেলা বিএনপিকে। পুলিশের ধমকে দুই মিনিটের ফটোসেশন করেই দ্রুত সটকে পড়েন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক তৈমুর আলম খন্দকার ও সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ।
এদিকে আড়াইহাজার রূপগঞ্জ সোনারগাঁ’র মতো দূর-দূরান্ত থেকে নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে এসে দেখতে পান বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হয়ে গেছে। এতদূর থেকে এসে কর্মসূচিতে অংশ নিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেককে, আর তাই আগামীতে এরকম ফটোসেশনের কর্মসূচি হলে তারা আর আসবেন না বলেও জানান।
জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন,জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন-জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দীন, জাহিদ হাসান রোজেল, নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, মাসুকুল ইসলাম রাজিব, সদস্য মোশাররফ, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, রুহুল আমিন শিকদার, আশরাফুল হক রিপন, জুয়েল আহমেদ, হাজী সেলিম, আল মুজাহিদ মল্লিক, কামরুজ্জামান মাসুম, একরামুল কবির মামুন ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ প্রমুখ।