নারায়ণগঞ্জ মেইল: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান। ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে একের পর এক অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছেন দাবি করে আনোয়ার প্রধান গণমাধ্যমকে জানান, সরকারের বর্তমান অবস্থা টালমাটাল। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পরে সরকারের পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। দেশের মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে প্রবাহিত করতেই এই অবৈধ সরকার এ ধরনের একটি ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু সরকারের এ সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে, দেশের মানুষের মনে জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আরো বৃদ্ধি পাবে। কারন বাংলার মানুষকে গণতন্ত্র শিখিয়েছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনে থেকে একটি ফোর্সকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। তাই এ ইতিহাস বাংলার মানুষের মন থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। কারন জিয়াউর রহমানের দর্শন নতুন প্রজন্মকে আরো বেশী করে জাতীয়তাবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ করবে।
আনোয়ার প্রধান আরো বলেন, সরকার যেটা করতে যাচ্ছে সেটা একটি অপরাধ এবং এর পরিনাম খুবই ভয়াবহ হবে। কারন ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না। আজ তারা যা করছে একদিন সেটাই কয়েকগুণ বড় হয়ে তাদের উপরই ফেরত আসবে। একদিন হয়তো তাদের দলের কোন বড় নেতার খেতাবও কেড়ে নেয়া হবে আর তখন তাদের প্রতিবাদ করার ভাষাও থাকবে না। কারন তাদের দেখানো পথেই হাটবে ভবিষ্যত প্রজন্ম। সবাইকে মনে রাখতে হবে যে, যেমন কর্ম তেমনই তার ফল।
প্রসঙ্গত, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় জড়িত থাকা এবং রাজাকারদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনসহ আরো নানা অভিযোগ।
কাউন্সিলের ওই একই বৈঠকে, খোন্দকার মোশতাক আহমেদের নাম মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ‘স্মরণীয় বরণীয়’ ব্যক্তি হিসেবে যে রাষ্ট্রীয় তালিকা, সেখান থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করা বা না করা নির্ভর করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করবে।