নারায়ণগঞ্জ মেইল: ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের। কমিটি পাওয়ার সাথে সাথেই রাতের অন্ধকারে কাউকে কিছু না জানিয়ে বন্দর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে বন্দর উপজেলা যুবদলের মূল দাবীদার নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল হওয়ায় ঘোষনার মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যে স্থগিত করা হয় খোরশেদের সেই আহবায়ক কমিটি। আর সেই থেকেই বন্দর উপজেলা নিয়ে জেলা ও মহানগর যুবদলের মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই চলছিলো। অবশেষে গতকাল ২৩ জুলাই সে লড়াইয়ের অবসান করে দিয়েছেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। কেন্দের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বন্দর উপজেলা যুবদল নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে কেন্দ্রীয় যুবদলের প্যাডে সহ দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত নির্দেশনা পত্র নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদলের কাছে পাঠানো হয়েছে। আর এর ফলে বন্দর উপজেলা নিয়ে চলমান লড়াইয়ে পরাজয় ঘটলো নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৬ এপ্রিল নজরুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও সাহাদাৎউল্লাহ মুকুলকে সদস্য সচিব করে ৯০ দিনের জন্য বন্দর উপজেলা যুবদলের ১৯ সদস্যের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেছিলো নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সাধারন সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু। আহ্বায়ক কমিটির অন্যেরা হলেন, যুগ্ম আহবায়ক- পারভেজ খান, সদস্য- মনিরুল ইসলাম মনু, মোঃ রুবেল মিয়া, বাবুল হোসেন মেম্বার, মোঃ আঃ সাত্তার, মোঃ মামুন ভূইয়া, মোঃ জাহিদ খন্দকার, আল-মামুন প্রধান, মোঃ নুর হোসেন, গোলজার হোসেন ভূইয়া, মোঃ আসাবুদ্দিন, মোঃ শিপন মাহমুদ, মোঃ বর জাহান, সেলিম খন্দকার, কামরুল ইসলাম, জাহিরুল খন্দকার জনি, সম্রাাট হাসান সুজন।