নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি ঢাকায় গোঁপন বৈঠক করেছে। ৪২ সদস্যের আহবায়ক কমিটির মধ্যে মাত্র কয়েক জন উপস্থিত ছিলেন সে বৈঠকে। কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎই আয়োজিত এই বৈঠক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজিব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
রাজিব তার ফেসবুক পেজে লেখেন, “যদি সত্যি এটা জেলা বিএনপির জরুরী সভা হয় তাহলে এই সভা সম্পর্কে জানার অধিকার প্রত্যেক সদস্যের রয়েছে। মনে রাখতে হবে কমিটি ৪২ জনের এই ৭/৮ জনের নয়। তাছাড়া এটাও শোনা যায় এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে এমন তথ্য কোন এক নেতা আগে থেকে জানার পরেও ঘটনা ঘটার আগে কোন ব্যবস্থা নেন নাই এমন কি ঘটনা ঘটার সময়েও সেটাকে থামানোর জন্য এক শীর্ষনেতা ছাড়া কেউ বের হয়ে এগিয়ে জাননি এটাকে নিভৃত করার জন্যে।এমনকি কেউ কেউ ঐ সভাতেও ছিলেন না।এরকম অবস্থায় যেকোন সিদ্ধান্ত শতভাগ নির্ভুল হবেনা বলেই প্রতিয়মান হয়।তাই গনতান্ত্রিক দল হিসেবে গনতান্ত্রিক মুল্যবোধের চর্চা সব বিষয়ে দলের মধ্যে চালু হবে এটাই প্রতিটি নেতাকর্মীর প্রত্যাশা ও সময়ের দাবী”।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় একটি গণ মাধ্যমে এই মিটিং এর সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
সোমবার (৮ জানুয়ারী ২০২১) বিকেল ৩টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা মেহেরবা প্লাজায় এড.তৈমুর আলম খন্দকারের ব্যাক্তিগত অফিসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়কদের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক এড.তৈমূর আলম খন্দকার।অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, যুগ্ম আহবায়ক নাসিরউদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান আবদু,যুগ্ম আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড.আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক একরামুল কবির মামুন।
অনুষ্ঠিত সভায় গত ৬ ফেব্রুয়ারী সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ ঘটনার জন্য প্রাথমিকভাবে ৩ জনকে সনাক্ত করে,সতর্কতামূলক পত্র দেয়া, এবং যে সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে ঐ সব অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কে লিখিত অভিযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এড.তৈমূর আলম খন্দকার মোবাইলে জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারী নির্ধারিত যৌথ মতবিনিময় সভাটি ছিলো জেলা অঙ্গসংগঠনের সুপার ফাইভের নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা বিএনপি মধ্যে সাংগঠনিক সভা। সীমিত পরিসরের অনুষ্ঠিত সভাস্থলে শত শত কর্মী সমর্থক নিয়ে শোডাউন প্রদর্শন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য আমরা প্রাথমিকভাবে ৩ জনকে চিহ্নিত করে সতর্কতা মূলক ভাবে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার সাথে ঐ সব অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আগামী ১৮ এপ্রিল মজলুম মিলনায়তনে জেলা বিএনপির ৪২ সদস্যের সকলকে নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে।ইতোমধ্যে বিভিন্ন থানা ও পৌর কমিটি গঠনের জন্য বিভিন্ন দিন স্ব স্ব থানা ও পৌর এলাকার নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হবে।