তারেক জিয়ার সাজা হওয়ায় খুশি যুবদল সেক্রেটারী!

নারায়ণগঞ্জ মেইল: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২ বছর কারাদন্ডের রায় দিয়েছে নড়াইলের একটি আদালত। বিএনপির যুবক তরুণদের প্রাণের স্পন্দন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজার রায় ঘোষনার পরে প্রতিবাদে ফেটে পরে যুবদল ছাত্রদলের নোকর্মীরা। নারায়ণগঞ্জের জেলা যুবদলও এ রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত সেই বিক্ষোভ মিছিলে জেলা যুবদলের প্রায় সকল নেতাকর্মী উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না সংগঠনের সেক্রেটারী গোলাম ফারুক খোকন। যদিও তিনি রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে খুব একটা অংশ নেন না তবে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে রায় হওয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে খোকন আসবেন বলে ধারনা ছিলো যুবদল নেতাকর্মীদের। কিন্তু এদিনও তিনি না আসায় নেতাকর্মীরা ক্ষোভের সঙ্গে জানান “তারেক রহমানের সাজা হওয়ায় জেলা যুবদলের সেক্রেটারী গোলাম ফারুক খোকন সম্ভবত খুশি হয়েছেন, তাই প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশগ্রহন করেননি”।

নেতাকর্মী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে করে মামলা হামলায় জর্জরিত হলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন সর্বদাই থাকেন নিরাপদে। সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে কখনোই সক্রিয় না থাকা সত্বেও জেলা যুবদলের সেক্রেটারী পদ ঠিকই বাগিয়ে আনেন খোকন। নেতাকর্মীরা মনে করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুল ইসলাম ভূইয়া দিপুর কারনেই খোকনের মতো নিস্ক্রিয় লোকও যুবদলের সেক্রেটারী হয়। বিশিষ্ট ধনকুবের দিপু ভূইয়ার কল্যাণে পদ পাওয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মামলা হামলা থেকেও নিরপদে থাকেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।

সূত্র জানায়, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগেও রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে খুব একটা দেখা যেতো না সেক্রেটারী গোলাম ফারুক খোকনকে। তখনকার রাজপথের অনেক বাঘা বাঘা যুবদল নেতা এ পদের দাবীদার থাকলেও সবাইকে অবাক করে দিয়ে গোলাম ফারুক খোকনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা করে কেন্দ্র। সালাউদ্দিন মোল্লা, সাদেকুর রহমান সাদেক, আশরাফুল ইসলাম রিপন বা সহিদুর রহমান স্বপনকে পিছনে ফেলে জেলা যুবদলের সেক্রেটারী পদ পেয়ে যান খোকন। আর এ কারশিমার পেছনের কারিগর হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য দিপু ভূইয়া। দিপু ভূইয়ার আশির্বাদেই যুবদলের নেতৃত্বে চলে আসেন গোলাম ফারুক খোকন।

এদিকে কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকে বেশীরভাগ কর্মসূচিতেই তিনি অংশ নেননি। নারায়ণগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শুধুমাত্র দলের প্রতি ভালোবাসার টানে ছুটে আসেন নেতাকর্মীরা অথচ সংগঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও খোকন মিটিং মিছিলে থাকেন অনুপস্থিত, তৃণমূলের কোন খোঁজ খবর রাখেন না। পুলিশের হামলা মামলাকে উপেক্ষা করে রাজপথে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন করা জেলা যুবদলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা তাদের সেক্রেটারীর গা বাঁচানোর রাজনীতির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে কোনদিনই সক্রিয় ছিলেন না খোকন, শুধুমাত্র টাকার জোরে কেন্দ্রে লবিং করে জেলা যুবদলের সেক্রেটারীর পদ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। তার মতো স্বার্থপর নেতার জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার কোন যোগ্যতা নেই।

এক যুগেরও বেশী সময় সরকার বিরোধী আন্দোলন করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু তৃণমূল কর্মী পর্যন্ত একের পর এক রাজনৈতিক মামলার আসামী হয়ে একাধীকবার জেল খাটলেও জেলা যুবদলের সেক্রেটারী মামলা হামলা জেলা কারাগার থেকে সর্বদাই ছিলেন নিরাপদে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের সপ্তাহের কোন না কোনদিন মামলার হাজিরা দিতে নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় দেখা মিললেও এখানেও অমাবস্যার চাঁদ খোকন। আদালতের বারান্দায় আইনজীবীদের পিছু পিছু ঘুরতে হয়না তাকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ