নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র রাজনীতিতে ক্রমশ ভারী হয়ে উঠছে তৈমূর বলয়। জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এড. তৈমূর আলম খন্দকার গত কমিটিতে পদ হারানোর আগে পরে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতা তৈমূর বলয় ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিভিন্ন ভাইয়ের ছায়াতলে। কিন্তু শত ঘাত প্রতিঘাত পেড়িয়েও এড. তৈমূর আলম খন্দকার শক্ত হাতে হাল ধরে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে শীর্ষস্থান ধরে রাখার ফলে অনেক হারিয়ে যাওয়া মুখও নতুন করে ভীড় জমাচ্ছেন তৈমূর শিবিরে। আর এদের সাথে অনেক সুযোগ সন্ধানীরাও মিশে যাচ্ছেন বলে আশংকা তৃণমূলের।
সূত্রে প্রকাশ, ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরে ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে সভাপতি আর কাজী মনিরুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র কমিটি। এ সময় নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতাই সব সময় থাকতের তৈমূরের চারপাশে। রাজপথে দুর্বার আন্দোলনে ভূমিকা রাখায় কেন্দ্রীয় বিএনপি এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপি চেয়ারপার্সণের উপদেষ্টার পদে ভূষিত করে, আর বিএনপিতে এক নেতার এক পদ নিয়ম প্রচলিত থাকায় ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র নতুন কমিটিতে রাখা হয়নি তাকে। কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষিত হয় এই কমিটি।
জেলা বিএনপিতে পদ হারানোয় তৈমূরের পাশ থেকে আস্তে আস্তে সরে যেতে থাকেন অনেক সুযোগসন্ধানী নেতা। নতুন পদ পাওয়া নেতাদের বলয়ে গিয়ে সুবিধা খুঁজতে থাকেন এসব নেতারা। এক সময় মূলধারার বেশীরভাগ নেতাই ছেড়ে চলে যান তৈমূর বলয়। কিন্তু তৈমূর কেন্দ্রীয় রাজনীতির পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও বলিষ্ঠ অবদান রাখতে থাকেন। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সংবাদপত্রে কলাম লিখে এবং টক শোতে উপস্থিত হয়ে আবারো আলোচনায় চলে আসেন তৈমূর। ফলে জেলা বিএনপির দায়িত্ব পুনরায় অর্পণ করা হয় তৈমূরের হাতে। আর এ কারনে এক সময়ে তৈমূরের কাছ থেকে সরে যাওয়া সেইসব সুযোগসন্ধানীদের অনেককেই আবারো ভীড় করতে দেখা যাচ্ছে তৈমূর শিবিরে।