নারায়ণগঞ্জ মেইল: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদদের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির ব্যানারে সাবেক জেলা বিএনপির নেতাকর্মী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজয় র্যালি ও বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। তবে এদিন দেখা মিলেনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটির আহবায়ক হিসেবে আলোচনায় থাকা এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে।
জানা যায়, চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারী ভেঙ্গে দেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি। ভেঙ্গে দেয়ার আগে জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। সে সময় আন্দোলন সংগ্রামে সচরাচর দেখা মিলেনি সভাপতি কাজী মনিরের। সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকেই দেখা যেতো নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং মিছিলে নেতৃত্ব দিতে। এর জন্য বহুবার পুলিশের হামলা মামলার শিকারও হতে হয়েছে তাকে। জেলও খেটেছেন বহুবার। তাই নতুন কমিটির আলোচনায় সদস্য সচিব হিসেবে নাম রয়েছে তার। তবে জেলা বিএনপির নেতৃত্ব তুলে দেয়ার আলোচনায় সর্বার্গে যার নাম সেই তৈমূর আলম খন্দকারকে দেখা যায়নি মহান বিজয় দিবসের র্যালীতে জেলা বিএনপির ব্যানারে। যদিও জেলা বিএনপির প্রায় সকল আলোচিত নেতাই ছিলেন এদিন বিজয় র্যালীতে।
র্যালী শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আজকে এদেশে গণতন্ত্র নেই , নেই আইনের শাসন। স্বাধীনতা ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী গণতন্ত্রের নেত্রী তিন তিন বারের প্রধাণমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে নিজ ঘরে কারাবন্দি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমান আজকে দূর প্রবাসে থেকেও বিএনপির রাজনীতির হাল ধরেছেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে তাকে দেশে আসতে দিচ্ছি না এই সরকার। কারন সরকার তারেক রহমানের জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। তিনি আরো বলেন, আমাদের আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে । সেটি হলো দেশ ও মানুষের গনতন্ত্র পুনঃ উদ্ধারের যুদ্ধ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামীতে যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামের ডাক আসবে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকবো।
র্যালিতে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সাবেক বিএনপির সহ-সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, নাছির উদ্দিন, লুৎফর রহমান আব্দু, যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, সাবেক সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এড. সরকার হুমায়ুন কবির, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি, জেলা তাঁতী দলের সভাপতি এড. শুক্কুর মাহমুদ, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী নুর নাহার বেগম প্রমুখ।