নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, দীর্ঘদিন চেষ্টা করে আমি এক টেবিলে বসতে চাইলেও বসতে পারি নাই। আজকে একটা আশা ছিল আপনাদের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের জন্য কাজ করবো। অনোয়ার সাহেব, মেয়র ও আমার কাজের মধ্যে পার্থক্য আছে। আমাদের কাজে ভাগ আছে।
আমরা একত্রিত হবো, এক টেবিলে বসবো। এক টেবিলে বসে সমাধান করবো। হয়তো অতীত ভুলের কারণে আজ আপনাদের সামনে নার্ভাস ছিলাম। অবশ্যই মানুষ মাত্রই ভুল করে। আল্লাহ তাআলা হাজারো ভুলের ক্ষমা কিন্তু একটি কাজের মাধ্যমে করে দেন।
এটা আমার কথা না, হাদিসের কথা। রাজনৈতিক অঙ্গন হচ্ছে প্রতিযোগিতার মাঠ। বিরোধ থাকতেই পারে। মেয়র যখন নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন, তখনই তার কোনো না কোনো দোষ বেরিয়ে যায়। মেয়র, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যেই হোক, আমরা সবাই যদি সহযোগিতা না করি তাহলে কোনো উন্নয়ন সম্ভব হবে না।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শায়েস্তা খাঁ সড়কে সরকারি গণগ্রন্থাগারের মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক আমির হুসাইন স্মিথ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা, বিএফইউজে’র সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্টের সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
এ সময় সেলিম ওসমান আরো বলেন, আমি অন্য দলের হয়ে সাংসদ হলেও আমার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা, আমার আপা। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক সেলিম ওসমান তার নির্দেশ ছাড়া কিছু করে না। সেলিম ওসমানের কিছু দোষ আছে। সেলিম ওসমান কারো কথা শুনে না। আমি অনেক বক্তব্যে বলেছি, সেলিম ওসমান কারো কথা শুনে না।
সেলিম ওসমানের কানের পর্দা নাই। আমি সরাসরি কথা বলি, কারো কথা আমি সহ্য করতে পারি না। অনেক সময় অনেককে ব্যথা দিয়ে কথা বলি কিন্তু কাউকে শত্রু বানাই না। শত্রুকে আলিঙ্গন করে বেঁচে আছি।
আমার পরিবারের কি হয়েছে সেটা বড় কথা না, আমার জনগণ কি অবস্থায় আছে, তাদেরকে কীভাবে ভালো রাখবো সেটা আসল কাজ। একজনের সঙ্গে আরেকজনের সম্পর্ক খারাপ হয় তাহলে চেইন ছিড়ে যাবে। সে এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত হবে। এর মধ্যে কোনো ভুল নাই।
তিনি বলেন, আমি যে শহরে বাস করি সে শহর পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন হলো। কিন্তু আমরা কি সিটি করপোরেশনের মর্যাদা পাচ্ছি? গতকাল থেকে যখন প্রকাশ পেয়েছে তখন থেকে হাজার হাজার ফোন। মশায় কামড়ায় এটা আমাদের মেয়রের দোষ, রাস্তায় ময়লা এটাও মেয়রের দোষ।
আমরা যারা সংসদ সদস্য আছি, আমরা চাহিদা তুলে ধরতে পারি। আমরা যদি চাহিদাপত্র জমা দেই, সে অনুযায়ী কাজ হয়। শান্তির চরে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জন্য আবেদন করেছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী ২১ দিনের মধ্যে তার অনুমতি দিয়েছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কটা সফল করতে পারছি না। আমরা পারছি না, শীতলক্ষ্যা ব্রিজটি সম্পূর্ণ করতে। তার কারণ হচ্ছে, সৌদি আরব থেকে একটি ফান্ড আসার কথা ছিল।
যা দিয়ে এটি সম্পূর্ণ করা হত। সে ফান্ডটা আসেনি। নারায়ণগঞ্জের প্রতি ভালোবাসায় প্রধানমন্ত্রী বললেন, ফান্ড আসুক বা না আসুক কাজ শুরু করো।
আমি এবং মেয়র একটা বিষয়ে একমত ছিলাম, আমাদের হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ ব্রিজ দরকার। আমি করবো না কে করবে সেটা দরকার নাই, নারায়ণগঞ্জের মানুষের দরকার।