নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের অন্যতম দোসর নারাংণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। জাতীয় পার্টির প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিম ওসমানের কর্মী ছিলেন খোকা। ওসমান পরিবারের আশীর্বাদে ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে বিনা ভোটে এমপি হন খোকা। টানা দশ বছর এমপি থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান তিনি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান ছিল তার। সোনারগাঁয়ে আন্দোলনকারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা করেছিল খোকা বাহিনী। গত বছরের ৫ আগষ্টের পর ওসমান পরিবার পালিয়ে গেলেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে লিয়াকত হোসেন খোকা। ঢাকায় জাতীয় পার্টির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায় মিছিল করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
জানাগেছে, ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে এমপি নির্বাচিত হন খোকা। জাতীয় পার্টির রাজনীতি করলেও ওসমান পরিবারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি। এসময় সোনারগাঁয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন খোকা। লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান খোকা। সোনারগাঁয়ে নিজের বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে একক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। দুর্নীতির পাশাপাশি নানান সন্ত্রাসী কার্যক্রমেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে খোকা ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে পুরো উপজেলায় সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন খোকা। এসকল বাহিনীর মাধ্যমে পুরো সোনারগাঁ নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি।
২০২৪ সালের পাঁচ আগষ্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সকল নেতাকর্মী ও সাবেক এমপিরা পালিয়ে গেলেও এখনও বহাল তবিয়তে আছেন লিয়াকত হোসেন খোকা। মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় পাঁচ আগষ্টের পর থেকে সোনারগাঁয়ে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি খোকাকে। তবে সম্প্রতি কালে ঢাকাতে নিয়তিম দেখা যাচ্ছে তাকে। গণহত্যার অসংখ্য মামলার আসামী হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খোকাকে গ্রেফতারে ব্যর্থতা হয়েছেন। আর এই সুযোগে ধীরে ধীরে নিজের অবস্থান শক্ত করছেন লিয়াকত হোসেন খোকা।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের পক্ষে বেশ কয়েকটি মিছিল হয়েছে। সেই মিছিল সফল করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে খোকার বিরুদ্ধে। খোকার নির্দেশে তার কর্মী বাহিনী নিজ নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।
