নারায়ণগঞ্জ মেইল: চলছে নির্বাচনের মৌসুম। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই হিসেবে নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। তাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে সবগুলো রাজনৈতিক দল। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপি। জাতীয় সংসদের তিনশটি আসনেই যোগ্য প্রার্থী বাছাই করছে দলের হাইকমান্ড।
সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেও যোগ্যতার ভিত্তিতে দক্ষ এবং বলিষ্ঠ রাজনীতিবিদের হাতে ধানের শীষের টিকেট তুলে দেওয়ার প্রস্তুতির সারছেন তারা। বিশেষ করে গত ১৫ বছরে যারা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে বিএনপি’র একটি বিশ্বস্ত সূত্র।
তবে এদের মধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির দলীয় প্রতীক পেতে টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছেন। মূলত যারা বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন না বরং সরকারি দলের সাথে আঁতাত করে অগাধ টাকার মালিক হয়েছেন তারাই টাকা দিয়ে বিএনপির মনোনয়ন কেনার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।
দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত তারা টাকা ছিটিয়ে যাচ্ছেন। টাকায় বিএনপি’র মনোনয়ন কেনা যায়, রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয় না। লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে শুরু করে ঢাকায় বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্বকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে আনা যাবে- এমনটাই প্রচার করছেন নারায়ণগঞ্জের মনোনয়ন প্রত্যাশী কয়েকজন শিল্পপতি ও তার অনুসারীরা।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দল বিএনপি তার ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে টাকায় মনোনয়ন বিক্রি করবে- এটা তৃণমূল কোনভাবেই মানতে পারছে না। তৃণমূল মনে করে দলের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছরের ত্যাগের কোনো মূল্য তারা পাবেন না, এটা কোনভাবেই হতে পারে না। তৃণমূলের বিশ্বাস বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের ১৭ বছরের কর্মকাণ্ডের আমলনামা দেখেই দলীয় মনোনয়ন দেবেন।
দলীয় সূত্র থেকেও এমনটাই জানা গেছে। হাসিনা সরকারের হামলা মামলা নির্যাতন সহ্য করেও রাজপথে জাতীয়তাবাদের ঠান্ডা ধরে রাখা জিয়ার সৈনিকরাই দলীয় মনোনয়ন পাবেন। খুনি হাসিনা সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে মিলেমিশে ব্যবসা করে টাকা কামানো শিল্পপতিরা যতই ভোল পাল্টে বিএনপি সাজার চেষ্টা করুক না কেনো, তাদের ভাগ্যে মনোনয়নের টিকেট জুটবে না। তৃণমূল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়া দল কোনো সিদ্ধান্ত নেবেনা।