নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি নির্বাচনী আসনের মধ্যে তিনটি আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে-১ এবং নারায়ণগঞ্জ-২ আগের মতই রয়ে গেছে। বাকি তিনটি আসনের সীমানা নতুন করে নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নতুন সীমানা অনুযায়ি নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁ উপজেলা এবং বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন। নারায়ণগঞ্জ-৪ গোগনগর, কাশীপুর, বক্তাবলী, আলীরটেক, এনায়েতনগর,, ফতুল্লা ও কুতুবপুর ইউনিয়ন। নারায়ণগঞ্জ-৫ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ শহর এবং বন্দরের সিটি করপোরেশনের অংশ।
এদিকে নতুন সীমানায় নির্ধারণের কারণে বেকায়দায় পড়েছেন নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। বিশেষ করে সোনারগাঁ, বন্দর, ফতুল্লা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ এতদিন যে প্যাটার্নে রাজনীতি করে এসেছেন, নতুন ঘোষণায় তাদের সবকিছু উলটপালট হয়ে গেছে।
সীমানা পুনর্বিবিন্যাসে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় আছে বন্দরের লোকজন। বন্দরের একটি অংশ নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাথে এবং আরেকটি অংশ নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বন্দরের অর্ধেক মানুষ সোনারগাঁয়ের সাথে রাজনীতি করবে বাকি অর্ধেক সদরের সাথে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন এতদিন ছিলো সদর এবং বন্দর দুটি থানা নিয়ে গঠিত। এবার তার সাথে যুক্ত হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা। একটি আসনে এখন তিন থানার ভোটার।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কখনো যুক্ত ছিলো সোনারগাঁয়ের সাথে, তারপরে যুক্ত হয়েছে ফতুল্লার সাথে এবং এবার যুক্ত হলো সদর ও বন্দরের সাথে। সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীদের নিজস্ব কোনো ঠিকানা কখনোই হলো না।
নতুন সীমানা বিন্যাসে ফতুল্লাবাসি এবার নিজেরাই একটি পূর্ণাঙ্গ আসন পেয়ে গেলো। ফতুল্লার পাঁচটি ইউনিয়নের সাথে সদরের দুইটি ইউনিয়ন যোগ হয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন গঠিত হয়েছে।
তবে নতুন এই সীমানা বিন্যাসের বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মী থেকে শুরু করে মনোনয়ন প্রত্যাশী কারো কাছেই মনঃপুত হয়নি। তাই এটা কার্যকর করা খুব একটা সহজ হবে না নির্বাচন কমিশনের জন্য। নেতাকর্মীদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এমনটি বুঝা গেছে।