নারায়ণগঞ্জ মেইল: গত কয়েক দিন ধরেই শহরের চাষাড়া শহীদ মিনারে ধর্ষণ বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে বাম রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তবে ধর্ষণ বিরোধী কর্মসূচীর নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী, পুলিশ ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করতে দেখা যায়। সর্বশেষ গত শুক্রবারে তাদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করলেও নিশ্চুপ ছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ।
জানাগেছে, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ধর্ষণের তদন্ত ও নারীকে পণ্য হিসেবে উত্থাপন বন্ধসহ ৯ দফা দাবিতে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে লং মার্চের সমাবেশটি ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ হয়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের উদ্দেশ্যে গিয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকেই নারায়ণগঞ্জ শহীদ মিনারে লং মার্চের সমাবেশের উদ্দেশ্যে জমায়েত হতে শুরু করে ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল । পরে বেলা সাড়ে ১২টায় লং মার্চের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে একটি দল নারায়ণগঞ্জে আসে। এসময় ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে নারায়ণগঞ্জ শহীদ মিনারে কেন্দ্রীয় ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ধর্ষণের প্রতিবাদে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী, পুলিশ, আওয়ামীলীগ নেতা ও ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন বক্তব্যরা। তবে বর্ষণ বিরোধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করার বিষয়টি ভাল ভাবে দেখছেন না সাধারণ নেতাকর্মীরা। এব্যাপারে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ তার ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে কেন গালাগালি করছিস??? চাষাড়া শহিদ মিনারে বামপন্থি নষ্টা ,নির্লজ্জ, আবর্জনা গুলি প্রতিদিন গালাগালি করছে। প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে গালি দিচ্ছে অথচ আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বড় বড় নেতারা নিশ্চুপ কেন? জেলা প্রশাসন নিরব কেন? প্রতিদিন সভা সমিতিতে অনেকেই বক্তব্য রাখেন কিন্তু ২ সপ্তাহ যাবত পবিত্র শহীদ মিনারে প্রধানমন্ত্রীকে গালি দিচ্ছে আপনাদের কোন আওয়াজ, প্রতিবাদ নাই!!! বর্তমান প্রেক্ষাপট হয়তো আপনাদের জানা নাই, হয়তো আপনারা ব্যস্ত।কষ্ট লাগে যখন বঙ্গবন্ধু, নেত্রীকে……. জননেতা এ কে এম শামীম ওসমান এমপি আছেন বলেই এখনও দলীয় ও সাধারণ মানুষ শান্তিতে দিন কাটায়। আনন্দ মিছিলে সবাই আসে…..কিন্তু নির্বাচন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে কারা থাকে???……ভ্যানর্গাড ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ যদি বাঁশি ফু দেয় ওরা পালাবে,পালিয়ে যাবে,রাস্তা কৈ খুজে পাবে না। কিন্তু এরপরে যখন মিডিয়া বলবে নানান কথা আপনাদের কে প্রশ্ন করবে আপনারা বলবেন আমিতো কিছুজানি না, ছাত্রলীগের কোন দায়িত্ব আমার না,উল্টো ছাত্রলীগের দোষ দিবেন,আরো কত কিছু……..অথচ ছাত্রলীগ ছাড়া অনেক কিছুই হয় না। আমরা ছাত্রলীগ সবার ছোট তাই সব কিছু আমাদেরকেই মুখবুজে সহ্য করতে হয়। ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করলে যখন অন্যরা ছাত্রলীগ নিয়ে অপপ্রচার চালায় তখনও আপনারা নিশ্চুপ থাকেন।এমন অনেক কিছুর শিকার ছাত্রলীগ কে হতে হয়।ছাত্রলীগ সহনশীল,প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাত্রলীগ করে না।শিক্ষা,শান্তি, প্রগতির পতাকা উড়ানো আমাদের কাজ। আল্লাহ হাফেয সবাই ভালো থাকবেন