নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোঃ চৌধুরীকে দলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের করা সতর্কবাণী দিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যারা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সেক্টর দখলবাজি চাঁদাবাজি করছেন তাদের জন্য এই সতর্কবাণী। তারা যদি এখনো শুধরে না উঠে তাহলে যেকোনো সময় তাদের কপালেও রিয়াদ চৌধুরীর মতো করুন পরিণতি অপেক্ষা করছে বলে মনে করছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির তৃণমূল।
ঘটনার বিবরণের প্রকাশ, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরপর নারায়ণগঞ্জ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী শিল্পাঞ্চল বলে খ্যাত নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সেক্টর দখলে নিয়ে শুরু করে চাঁদাবাজি যার শীর্ষে ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোঃ চৌধুরী। নারায়ণগঞ্জের খুনি গডফাদার শামীম ওসমানের সহযোগী শাহ নিজাম এবং মীর সোহেলের সন্ত্রাসী বাহিনীকে সাথে নিয়ে বিসিকের ঝুট সেক্টর থেকে শুরু করে হাট-মাঠ-ঘাট-বাজার সব জায়গায় নিজের দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে উঠিয়ে নিয়ে আসা কিংবা নানা ধরনের হুমকি ও নির্যাতন করা হতো।
রিয়াদ চৌধুরীর এসব অপকর্মের কাহিনী বিএনপির হাই কমান্ড থেকে শুরু করে সুদুর লন্ডন পর্যন্ত পৌঁছে যায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব দখলদারি এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সকলকে সাবধান করে আসছিলেন। কিন্তু রিয়াদ চৌধুরী তারেক রহমানের এই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে টাকার লোভে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
অতি সম্প্রতি ফতুল্লার একজন ব্যবসায়ীকে চাঁদার জন্য টেলিফোনে হুমকি প্রদান করেন এবং তার শিল্প প্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার হুঁশিয়ারিও দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই টেলিফোন আলাপ ভাইরাল হয়ে যায়। এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি রিয়াদ চৌধুরীর। গত ১৫ মে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে দলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর এই বহিষ্কার আদেশ নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য একটি সতর্কবাণী বলে মনে করছেন সবাই। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাইকে সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে আসার এখনই সময় বলে মনে করছে তৃণমূল। তা না হলে সকলের জন্য করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
