নারায়ণগঞ্জ মেইল: অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এবং আতাউর রহমান মুকুল দুজনেই বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় প্রথমে বহিষ্কার করা হয় এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে এবং পরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ায় বহিষ্কার করা হয় আতাউর রহমান মুকুলকে। বিএনপির থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারিয়েছিলেন এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এবার আতাউর রহমান মুকুল দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরে অংশ নিতে যাচ্ছেন আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে। তৃণমূলের মতে তৈমুরের মত একই পরিণতি অপেক্ষা করছে আতাউর রহমান মুকুলের জন্য। আসন্ন বন্দর উপজেলা নির্বাচনে জামানত হারানোর শঙ্কায় আছেন বিএনপির বহিষ্কৃত এই নেতা।
সূত্র প্রকাশ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রভাবশালী নেতা ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং জেলা বিএনপির সভাপতি। এতকিছুর পরেও লোভ তার পিছু ছাড়েনি। এই লোভের বশবর্তী হয়ে সরকারি দলের সাথে হাত মিলিয়ে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি । আর এই অপরাধে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয় তৈমুর আলম খন্দকারকে। দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তৈমুর। বিএনপি’র ইমেজকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চেয়েছিলেন তিনি কিন্তু বিএনপির ভোটাররা বহিষ্কৃত এই নেতাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। ফলে নির্বাচনে ভরাডুবি হয় তৈমুরের, এমনকি জামানত পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেন।
অপরদিকে তৈমুরের মতো একই অপরাধের কারণে বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুলকে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার কারণে বিএনপি থেকে বহিষ্কার হন মুকুল। এবার তৈমুরের মতই বিএনপি’র ইমেজ কাজে লাগিয়ে উপজেলা নির্বাচনে জয়ের চিন্তা করছেন বিএনপির এই বহিষ্কৃত নেতা। কিন্তু বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে যারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তাদেরকে তৈমুরের মতোই পরিণতি ভোগ করতে হবে। তৈমুর যেমন জামানত হারিয়েছেন তেমনি আতাউর রহমান মুকুলও এবার জামানত হারানোর শঙ্কায় আছেন। বন্দর উপজেলা নির্বাচনে সরকার দলীয় একাধিক প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টির ভোট মুকুলের ভাগ্যে জুটবে না আর বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় নির্দেশনার বাইরে যাবে না। তাই আসন্ন বন্দর উপজেলা নির্বাচনে তৈমুরের মত একই পরিণতি অপেক্ষা করছে আতাউর রহমান মুকুলের জন্য এটা প্রায় নিশ্চিত।