নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলে যেনো প্রাণ ফিওে এসেছে। প্রতিটি কর্মসূচিতেই আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে শত শত নেতাকর্মী অংশগ্রহন করছে। হলুদ রঙের ক্যাপ মাথায় দিয়ে বিশাল মিছিল নিয়ে রাজপথে ঝড় তুলছে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। নতুন কমিটি ঘোষনা হওয়ার পর থেকেই এই গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এর আগের কমিটি থাকতে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি, নানা বলয়ে বিভক্ত হয়ে পরেছিলো। রানা-বাবুর নেতৃত্বে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষনা হওয়ার পর সবাইকে এক সুতায় গেঁথে ফেলেন তারা। ফলে নিষ্প্রাণ স্বেচ্ছাসেবক দলে প্রানের সঞ্চার ঘটেছে।
সূত্রে প্রকাশ, গত ২৯ আগষ্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের তিন সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। সাখাওয়াত ইসলাম রানাকে আহবায়ক, মমিনুর রহমান বাবুকে সদস্য সচিব ও কামালউদ্দিন মীর্জা জনিকে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করে এই কমিটি ঘোষনা করা হয়। কমিটি ঘোষনার এই দেড় মাসের মধ্যেই সকলের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে তারা প্রতিটি কর্মসূচি সফল করতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে। রানা-বাবুর দক্ষ নেতৃত্বের কারনেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন সকলে। তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে নেতাকর্মীদেও সাথে খোলামেলা আলোচনা কওে সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই সেনাপতি। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
অপরদিকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আগের কমিটি থাকতে নেতাকর্মীরা নানা ধারায় বিভক্ত হয়ে পরেছিলেন। একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোনো কর্মসূচিই তারা পালন করতে পারেনি। তৎকালীন সভাপতি আবুল কাউসার আশার সাথে একসাথে খুব কমই কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা। তারা দুইজন দুই মেরুর বাসিন্দা হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে ঐক্যের বিশাল অভাব ছিলো ফলে দায়সারাভাবে কোনো রকমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছিলো তাদের কার্যক্রম। তাদের সেই কমিটি বাতিল করে দিয়ে সাখাওয়াত ইসলাম রানা ও মমিনুর রহমসান বাবুর হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পর থেকেই বদলে যেতে থাকে দৃশ্যপট। শহরের বুকে এখন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের শোডাউন দেখার জন্য সবাই উন্মুখ হয়ে থাকে।