নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, এই অবৈধ সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গৃহবন্দী করে রেখেছে। দেশনায়ক তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে আসতে দিচ্ছে না। ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে বানচাল করতে নিজেরাই মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে এসকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, যতদিন না পর্যন্ত খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সারাদেশে গ্রেফতার বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়া না হবে ততদিন নারায়ণগঞ্জের রাজপথে মুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্ৰেফতার কেন্দ্রীয় সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও বিএনপি নেতা মকবুল হত্যার প্রতিবাদে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দুপুর দুইটা থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড় সংলগ্ন সাহেবপাড়ায় এলাকায় জড়ো হতে থাকে।
পরে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড়ের উপরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল বের করার প্রস্তুতি নেন । এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড়ের উপরে উঠতে বাঁধা দিলে দলীয় নেতাকর্মীরা সেখানেই সমাবেশ করেন। এ সময় পুলিশ তাদেরকে ঘিরে রাখে।
একসময় পুলিশি ব্যারিকেডে বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্ৰেফতার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার এবং বিএনপি নেতা মকবুল হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টিটু, মাশুকুল ইসলাম রাজিব, লুৎফর রহমান খোকা, জুয়েল আহম্মেদ, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন শিকদার, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সদস্য সচিব বাছির উদ্দিন বাচ্চু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান স্বপন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল রানা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম,সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম, সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভুঁইয়া, বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সম্রাট হাসান সুজন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রুমা আক্তার, সাবেক সভানেত্রী নুর নাহার বেগমসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।