নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির প্রধান করা হয়েছে সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনকে। সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন গত তিন বছরে জেলা যুবদলের বেশিরভাগ কর্মসূচিতেই খোকন ছিলেন অনুপস্থিত।
অপরদিকে বিগত কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু ছিলেন রাজপথের একজন পরীক্ষিত নেতা। যেকোনো আন্দোলন কর্মসূচিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা শহিদুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে ছিলেন ঐক্যবদ্ধ। টিটুর মত একজন ত্যাগী নেতা দায়িত্ব খোকনের মত নিষ্ক্রিয় নেতার হাতে দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে যুবদলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
তৃণমূল সূত্রে প্রকাশ, গত ১৫ বছর বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। এসময় রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে খুব একটা দেখা মিলেনি গোলাম ফারুক খোকনের। রূপগঞ্জ বিএনপি’র এক সিনিয়র নেতার সুপারিশে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন খোকন। সেই নেতার আশীর্বাদেই এখন আহ্বায়ক হয়েছেন তিনি। অথচ কমিটি পাওয়ার পরেও যুবদলের কর্মসূচিগুলোতে তিনি থেকেছেন অনুপস্থিত।
ক্ষুব্ধ যুবদল নেতাকর্মীরা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যখন দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক রাজনৈতিক মামলা দায়ের হয়েছে, তখনো গোলাম ফারুক খোকনের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা হয়নি। গোলাম ফারুক খোকনই সম্ভবত একমাত্র বিএনপি নেতা যাকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়না। সরকারি দলের সাথে গোপন লিয়াজো রক্ষা করে চলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে, এমনটাই মনে করেন স্থানীয় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা। দিনের-পর-দিন নিষ্ক্রিয় থেকেও যুবদলের কমিটিতে আহ্বায়ক এখন গোলাম ফারুক খোকন- যা নেতা-কর্মীদেরকে হতাশ করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর শহিদুল ইসলাম টিটুকে সভাপতি ও গোলাম ফারুক খোকনকে (সাবেক মুরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান) সাধারণ সম্পাদক এবং সোনারগাঁয়ের সহিদুর রহমান স্বপনকে ১ম যুগ্ম সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ৮ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষনা করেছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব এবং সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
কমিটিতে অন্যান্যরা হলেন সহ সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, সহ সভাপতি এ কে এম আমিরুল ইসলাম ইমন, সহ সভাপতি হারুন অর রশিদ মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূইয়া, সাংগঠিনক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন।
আংশিক কমিটি ঘোষনার প্রায় ৬ মাস পরে ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ ২০১ সদস্যের পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নিরব এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
গত ১৬ মার্চ টিটু-খোকনের কমিটি বিলুপ্ত করে তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।