নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আওতাধীন ১০টি ইউনিট কমিটি ঘোষনা করা হয়েছিলো গত ২০ জানুয়ারি। কমিটি ঘোষনার পর থেকে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। নতুন করে ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। নতুন নেতৃত্বে ফতুল্লার তৃণমূল কর্মীসমর্থকরা আগামী দিনে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন। অপরদিকে আড়াইহাজার থানা কমিটি ঘোষনার পর থেকে বিভক্তি ছড়িয়ে পরেছে নেতাকর্মীদের মাঝে। নতুন এই কমিটিকে বিশেষ এক নেতার পকেট কমিটি আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে স্থানীয় বিএনপির একটি বড় অংশ। এমনকি ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে সভা সমাবেশ করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নবগঠিত ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটিতে আহবায়ক করা হয়েছে জাহিদ হাসান রোজেলকে আর সদস্য সচিব করা হয়েছে জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে। তৃণমূূলের মতে এ দুজনই কর্মীবান্ধব নেতা। তাদের নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের সুতিকাগার ফতুল্লার নেতাকর্মীরা আগামী িিদনে রাজপপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস সকলের। মাঠ পর্যায় থেকে রাজনীতি করে উঠে আসা রোজেল-টিটুর উপর তাই পূর্ণ আস্থা রেখেই আগামী দিনে পথ চলতে চায় ফতুল্লা বিএনপির সর্বস্থরের নেতাকর্মীরা। সকল ভুল ত্রুটি পিছনে ফেলে নতুন উদ্যোমে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পরার প্রতিশ্রুতি দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা জাহিদ হাসান রোজেল ও শহিদুল ইসলাম টিটুর।
অপরদিকে, ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আড়াইহাজার থানা বিএনপি’র কমিটি জনবিচ্ছিন্ন নেতা এবং নব্য কিংমেকার হিসেবে পরিচিত নজরুল ইসলাম আজাদের বলয়ে দিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীদের। নজরুল ইসলাম আজাদ বলয়ের ইউসুফ আলী ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক এবং জুয়েল আহমেদকে করা হয়েছে সদস্য সচিব। অথচ মাঠ পর্যায়ে এই দুই নেতার নেই তেমন গ্রহণযোগ্যতা কিন্তু কিংমেকারের কারিশমায় চলে আসছেন আড়াইহাজারে নেতৃত্বে। যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল নেতাকর্মীরা। আর এ কারনে কমিটি ঘোষনার পর থেকেই আড়াইহাজারে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা এই জনবিচ্ছিন্ন কমিটিকে নজরুল ইসলাম আজাদের পকেট কমিটি আখ্যা দিয়ে সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত।
এদিকে আড়াইহাজার বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন প্রয়াত বদিউজ্জামান খসরু। তিনি ছিলেন থানা বিএনপি’র সভাপতি। তার মৃত্যুর পরে তার ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকায় রয়েছে তাদের বিশাল জনপ্রিয়তা। ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান হিসেবে আড়াইহাজার থানা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের দাবি ছিল মাহমুদুর রহমান সুমনকে আড়াইহাজার থানা বিএনপি’র আহবায়ক পদ দেয়া হোক। এলাকায় বিশাল কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারতেন সুমন-এমনটাই বিশ্বাস ছিলো তৃণমূলের। কিন্তু কিংমেকারের পকেটে কমিটি চলে যাওয়ায় এখন হাইব্রিড নেতাদের উত্থান ঘটবে এবং ত্যাগী নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবেন বলে ক্ষোভ তাদের।