নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে এড. তৈমূর আলম খন্দকারের সম্ভাবনার কথা আলোচিত হচ্ছে সর্বত্র। তবে সেই সাথে আরেকটি বিষয় উঠে এসেছে পাশাপাশি আর তা হলো নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে সবচেয়ে উজ্জল সম্ভাবনায় রয়েছেন তৈমূরের সহোদর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, দুই ভাইয়ের যে কোন একজনকে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেয়া হবে, একসাথে তাদের দুইজনের নেতৃত্বে আসার আসার সম্ভাবনা নেই। তাই তৈমূর জেলা বিএনপির সভাপতির চেয়ার ছাড়তে না চাইলে কপাল পুড়বে খোরশেদের এটা নিশ্চিত।
সূত্রে প্রকাশ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের ব্যর্থতা ও অপারগতায় জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর। আর সে ক্ষেত্রে নতুন সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন এড. তৈমূর আলম খন্দকার। তৈমূরকে জেলা বিএনপির সভাপতি করতে কেন্দ্রে জোর লবিং গ্রুপিং চালিয়ে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ধনাঢ্য নেতা আজহারুল ইসলাম মান্নান।
এদিকে জেলা বিএনপির মতো নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটিও সভাপতি সেক্রেটারীর চরম ব্যর্থতায় ভেঙ্গে দেওয়ার কথা ছিলো কিন্তু কমিটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলা চলমান থাকায় এখনো বহাল আছে সে ব্যর্থ কমিটি। তবে খুব শীঘ্রই মামলার নিস্পত্তি করে ভেঙ্গে দেয়া হবে মহানগর বিএনপির কমিটি আর সে ক্ষেত্রে আসতে পারে নতুন এবং তারুণ্য নির্ভর নেতৃত্ব- এমনটাই জানা গেছে বিএনপির বিভিন্ন সূত্র থেকে। এড. আবুল কালাম আর এটিএম কামালের ব্যর্থ নেতৃত্বের অবসান ঘটিয়ে নতুনরূপে মহানগর বিএনপির কমিটিকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে মহানগর যুবদলের সফল সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিকল্প দেখছেন না কেন্দ্রীয় নেতারা। খোরশেদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যেভাবে মহানগর যুবদল আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, তারই ধারাবাহিকতা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে সৃষ্টির লক্ষ্যে খোরশেদকেই মহানগর বিএনপির সেক্রেটারীর পদে সবচেয়ে যোগ্য ভাবা হচ্ছে।
মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়া যখন প্রায় নিশ্চিত তখনই সেখানেবাধ সাধেন তারই আপন বড় ভাই বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকার। কারন বহু আগে জেলা বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে অভ্যস্ত তৈমূর আলমকে পুনরায় জেলা বিএনপির সভাপতির লোভ দেখিয়ে নিজে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সোনারগাঁয়ের আজহারুল ইসলাম মান্নান। আর মান্নানের প্রলোভনে পরে নিজের ভাইয়ের সর্বনাশ ডেকে আনছেন তৈমূর আলম খন্দকার। কারন তৈমূরকে জেলা বিএনপির সভাপতি করা হলে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে নাম কাটা যাবে খোরশেদের। এক বাড়িতে দুই ভাইকে নেতৃত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় বিএনপি। আর তাই তৈমূরের কারনে এবার কপাল পুড়তে যাচ্ছে ছোট ভাই খোরশেদের।