নারায়ণগঞ্জ মেইল: বঙ্গবন্ধুর হত্যার অবশিষ্ট খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার ( ১৭ আগষ্ট ) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিমউদ্দিন মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা। উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ আতিকুজ্জামান সোহেল, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বন্দর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক শেখ কামাল, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আসাদুজ্জামান খোকন, ইসলাম পলু, জুয়েল হোসেন, মো: ফারুক প্রমুখ ।
প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল । বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাপ সৃষ্টির পর ঐই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় । পরে বঙ্গবন্ধু দেশে এসে দেশ গঠনের আত্মনিয়োগ করলেন । দেশ যখন উন্নয়নের দিকে যাচ্ছিল ঠিক তখনই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরা পাকিস্তানিদের চক্রান্তে দেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ।
এড. খোকন সাহা বলেন, জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের জন্য মামলা চালু করেন এবং ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরে তাদের ফাঁসি কার্যকর করেন। বঙ্গবন্ধুর অবশিষ্ট আরো পাঁচজন খুনি বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছে । তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে । আমাদের একটাই দাবি অবিলম্বে এই পাঁচ জন আসামিকে দেশে ফিরিয়ে তাদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে ।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র । ১৯৭১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন জানিয়েছিলেন । সে সময়ে প্রায় এক কোটি লোককে তিনি ভারতে আশ্রয় দিয়েছিলেন । মুক্তিযুদ্ধাদের ট্রেনিং এর মাধ্যমে এবং তাদের অস্ত্র ব্যবস্থা করে ছিলেন । মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি লোককে ভারতে আশ্রয় দিয়েছিলেন । মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নয় মাস তাদেরকে লালন- পালন করে ছিলেন । বাংলাদেশ-ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু । আমরা চাই বাংলাদেশ ভারতে এই বন্ধুত্ব অটুট থাকুক । কিন্তু একটি ষড়যন্ত্র মহল ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক বিনষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্রের লিপ্ত। ষড়যন্ত্রকারীদের বলতে চাই বাংলাদেশ যতদিন বেঁচে থাকবে বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে বন্ধু হিসাবে থাকবে। যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট করতে পারবেন না ।