নারায়ণগঞ্জ মেইল: ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জবাসীকে শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম। গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আদর্শ বুকে ধারণ করে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আরেকটি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
যুবদল নেতা সহিদুল বলেন, ১৯৭৫ সালের এ দিনে ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেন সিপাহী-জনতা। সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদ, একনায়কতন্ত্র, একদলীয় শাসন, জনজীবনের বিশৃঙ্খলাসহ তখনকার বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটে। একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে দেশ একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশে ফিরে আসে। ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে সৈনিক-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত। দেশমাতৃকার চরম সংকটকালে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রিরা জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। এ অরাজক পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং জিয়াউর রহমান মুক্ত হন।
তিনি বলেন, ’৭৫-এর ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে আমাদের মাতৃভূমি প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীন অস্তিত্ব লাভ করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত হয়। স্বদেশবাসীর জাগরিত দৈশিক চেতনায় পরাজিত হয় আধিপত্যকামী শক্তির অশুভ ইচ্ছা। ১৯৭৫ সালের এ দিনে স্বাধীনতার চেতনায় আধিপত্যবাদী শক্তির নীল নকশা প্রতিহত করেন এদেশের বীর সৈনিক ও জনতা। সম্মিলিত প্রয়াসে জনগণ নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠে। ৭ নভেম্বর বিপ্লবের সফলতার সিঁড়ি বেয়েই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ পেয়েছি।