নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আওতাধীন রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদল ও তারাবো পৌর যুবদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় কিছুদিন আগে। কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি, আর যাদেরকে নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে তাদের সাথে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছে একটি পক্ষ। কমিটি নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলতে থাকা অবস্থায় এবার হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। কমিটিতে স্থান না পাওয়া যুবদলের ক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা তারাবো পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আফজাল কবীরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে- স্থানীয় সূত্রে এমনটা জানা গেলেও হামলার দায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের উপরে চাপিয়ে দেয়ার প্রয়াস চালাচ্ছেন হামলার শিকার যুবদল নেতা আফজাল কবির।
শনিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার রূপসী সুইচগেট টিআইসির মোড়ে অবস্থিত আফজাল কবিরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে এগারোটা) ভুক্তভোগির পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি।
থানায় অভিযোগ না জানানোর কারণ জানতে চাইলে যুবদল নেতা আফজাল কবির নারায়ণগঞ্জ মেইলকে বলেন, আমি থানায় কোনো অভিযোগ জানায়নি কারণ আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র বিতর্কিত নেতা দিপু ভূইয়া রূপগঞ্জে রাজনীতি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে তার বলয়ে থাকা আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ লোকজন দিয়ে যুবদলের কমিটি আনিয়েছেন। যাদেরকে যুবদলের নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে নৌকার পক্ষে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়েও কমিটিতে পদ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন ত্যাগী নেতাকর্মীরা। এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে শনিবার তারাবো পৌর যুবদলের আহবায়ক আফজাল কবীরের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর এটাকে ধামাচাপা দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উপর এই হামলার দায় চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন দিপু ভূঁইয়ার এই শিষ্য।
এদিকে হামলার প্রায় ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, ৬০ হাজার নগদ টাকা হামলাকারীরা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন আফজাল কবির ও তার পরিবার। তবে হামলার সময় বাড়িতে ছিলেন না যুবদল নেতা।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি বাঁ কোন হামলার সংবাদ আমরা পাইনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।