‘নির্বাচন কমিশনারদের জানাজায় অংশ নেবে না বিএনপির আইনজীবীরা’

নারায়ণগঞ্জ মেইল : গত ২৮ জানুয়ারি আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট ছিনতাই করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট ছিনতাই করা হয়েছে। পঁচিশ জন আইনজীবীকে নির্মূল ভাবে প্রহর করে ভোটার বাক্স ছিনতাই করা হয়েছে। বহিরাগতদের দিয়ে আইনজীবীদের উপর হামলা করা হয়েছে। সেটা সারাদেশে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। বিগত তিন বছর যাবৎ আইনজীবী সমিতিতে কোন নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচনের সময়ে ছবি ধারন করতে গিয়ে সাংবাদিক পর্যন্ত তাদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। সুতরাং আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখান করছি।

রোববার ( ৭ ফেব্রুয়ারি ) দুপুরে আদালত পাড়ায় সদ্য অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান এবং আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন তিনি ।

এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, একটি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে নির্বাচন কমিশনার বানিয়ে এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনার বানিয়ে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোটকে হাইজ্যাক করা হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশনার নির্লজ্জ পরিচয় দিয়ে আইনজীবীদের ভোটকে কলঙ্কিত করেছে । আইনজীবীদের মান ইজ্জত নষ্ট করেছে। তাই আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ যে পাঁচজন নির্বাচন কমিশনারের সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে তাদের কোন কিছুতেই আইনজীবী ফোরাম তথা বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা অংশগ্রহণ করবে না। এমনকি মৃত্যুকালে তাদের জানাজা তো আমরা যাব না। এবং তাদের কোর্ট রেফারেন্স করবো না।

তিনি বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আইনজীবীদের থেকে যে রক্ত ঝরানো হয়েছে তার জন্য প্রতিবছরে ২৮ শে জানুয়ারি আমরা এই দিনটাকে কালো দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করলাম এবং তা পালন করব। সাংবাদিকদের উপর হামলা ও আইনজীবীদের উপর যে হামলা চালানো হয়েছে সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত এবং আইনজীবিদের যে ভোটার অধিকার হরণ করেছে সরকার ও সমন্বয় পরিষদ । ভোটারদের ভোটের সুষ্ঠু অধিকার এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন সংগ্রাম চলছে চলবে।

তিনি আরও বলেন, ভোটের দিন বহিরাগতদের দিয়ে একজন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছিলো। তাদের গনতন্ত্রের প্রতি কোন শ্রদ্ধা নাই। তারা গায়ের জোরে এই কর্মকাণ্ড করেছে। সুতরাং আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এবং এই প্রহসনের নির্বাচনের বাতিল জানাচ্ছি। অবিলম্বে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের গঠন করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জোর দাবি জানাচ্ছি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এড. সরকার হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে এ সময়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. খোরশেদ আলম মোল্লা, সাবেক সহ-সভাপতি এড. মশিউর রহমান শাহিন, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ জাকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. ওমর ফারুক নয়ন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদ্য অনুষ্ঠিতব্য আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এড. কামাল হোসেন মোল্লা, আইনজীবী ফোরাম নেতা এড. মাহমুদুল হক আলমগীর, এড. সুমন মিয়া, এড. আসমা হেলেন বিথী, এড. শেখ আনজুম আহমেদ রিফাত, এড. ফজলুর রহমান ফাহিমসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ