বহিস্কার ঠেকাতে তারেক রহমানের কাছে তৈমূরের ক্ষমা প্রার্থনা

নারায়ণগঞ্জ মেইল: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে লিখিত ক্ষমা চেয়ে বহিস্কার হওয়া থেকে রক্ষা পেলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. তৈমূর আলম খন্দকার। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট শাখার সদ্য ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে পাল্টা কমিটি ঘোষনার অপরাধে এড. তৈমূরকে বিএনপির সকল পদ থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। তখন নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বাঁচাতে পাল্টা কমিটি ঘোষনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর লিখিত চিঠিতে নি:শর্ত ক্ষমা চান এড. তৈমূর এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার অঙ্গিকার করেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমান বরাবর এ চিঠি দেন তৈমূর।


সূত্রে প্রকাশ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট শাখার কমিটি ঘোষনা করা হয় গত ২৬ জানুয়ারি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক কমিটির অনুমোদন দেয় ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি। এ কমিটি মেনে নিতে পারেননি এড. তৈমূর আলম খন্দকার, পাল্টা কমিটি ঘোষনা করেন। তৈমূরের এহেন অসাংগঠনিক কর্মকান্ডে ফুঁসে উঠের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা তৈমূরের এই বেয়াদবির ঘটনা লন্ডনে তারেক রহমানকে জানান, তারেক রহমান ক্ষুৃব্দ হয়ে তৈমূরকে বহিস্কারের নির্দেশ দেন। তারেক রহমানের নির্দেশনা পেয়ে তৈমূর চোখে অন্ধকার দেখতে থাকেন। তখন বাধ্য হয়ে নিজের রাজনীতি বাঁচাতে তারেক রহমান বরাবর লিখিত চিঠিতে তার কৃতকর্মের জন্যে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

চিঠিতে এড. তৈমূর আলম খন্দকার লিখেন, বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী একজন আইনজীবী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি দীর্ঘদিন পরে গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সপ্রিম কোর্ট ইউনিট এর একটি কমিটি উপহার দেওয়ার জন্যে। কমিটি প্রাপ্তির পরে অনেকটা আবেগের বশবর্তী হয়ে আমরা একটা পাল্টা কমিটি গঠন করেছিলাম, যা দায়িত্বশীল পদে থেকে করা উচিত হয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত কর্মকান্ড থেকে নিজেদের বিরত রাখার অঙ্গিকার করছি এবং একই সাথে আমাদের ঘোষিত কমিটি বাতিল করলাম। সেই সাথে সদ্য ঘোষিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সপ্রিম কোর্ট ইউনিটকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অঙ্গিকার করছি। আমাদের আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে বিবেচনা করে বাধিত করিবেন।

এদিকে তৈমূরের এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে বিএনপির আইনজীবীদের মাঝে। ইতিপূর্বেও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে পাল্টা প্যানেল দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। তখনও ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছিলেন তৈমূর। তৈশুরের এ ধরনের কর্মকান্ডে আইনজীবী থেকে শুরু করে বিএনপির হাই কমান্ড পর্যন্ত বিব্রত। তাই এবার তৈমূরের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির খড়গ প্রায় প্রস্তুতই হয়ে গিয়ে গিয়েছিলো। তারেক রহমানের কাছে ক্ষমা চেয়ে এবার্ োকোনক্রমে হয়তো নিজের রাজনীতিটা রক্ষা করলেন সুবিধাবাদী এই বিএনপি নেতা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ