নারায়ণগঞ্জ মেইল: আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনে সরকারী দলের বিপক্ষে পূর্ণ প্যানেলেই লড়ছে বিএনপির আইনজীবীরা। তবে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে তাদের পাশে এখনও দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ার এক সময়ে বিএনপির কান্ডারী এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. তৈমূর কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়ে নিজের দায় সেরেছেন। বিবৃতিতে বিএনপি প্যানেলকে ভোট দিতে আইনজীবীদের আহবান জানিয়েছেন তৈমূর। তবে স্বশরীরে এসে আইনজীবীদের সাথে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেয়া কিংবা অভিভাবকের মতো প্রার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও দিক নির্দেশনা প্রদান- কোন কার্যক্রমেই ছিলেন না এড. তৈমূর। বিশেষ করে সরকারী দল ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গত কয়েকদিন যাবত আদালতপাড়ায় যেভাবে শোডাউন করছে, তাতে করে তৈমূরের মতো একজন অভিজ্ঞ ও শীর্ষস্থানীয় নেতা বিএনপি প্রার্থীদের পাশে থাকলে তারা আরো বেশী অনুপ্রানিত হতো বলে মনে করছেন বিজ্ঞজনেরা।
সূত্র জানায়, গত দুই বছরের বার নির্বাচনের আগেও খুবই সংকটকাল অতিবাহিত হয়েছে বিএনপির আইনজীবীদের। আওয়ামীলীগের দাপটে কেউ প্রার্থীই হতে চাচ্ছিলেন না। সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এড. জাকির হোসেন। নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এড. জাকিরের গ্রহনযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা তাকে বিএনপির একজন শক্ত প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগ মুহুর্তে অজানা কারনে তিনি প্রার্থী হতে অনীহা প্রকাশ করেন। সেই সাথে অন্যান্য পদগুলোতেও প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। শেষ পর্যন্ত ১৭টি পদে প্রার্থী দিতে পেরেছিলো কোনমতে। এই ক্রান্তিকালেও বিএনপির আইনজীবীদের পাশে দেখা মিলেনি এড. তৈমূর আলম খন্দকার কিংবা এড. আবুল কালামের। আইনজীবী নেতাদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে এড. সাখাওয়াত হোসেন খান মোটামোটি একটি প্যানেল দাড় করান। এবারো সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
গত বছরের বার নির্বাচনের আগের দিন নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয় বিএনপি। তবে এবার নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়ার ঘোষনা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রতিদিনই বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের নিয়ে প্রচার প্রচারনা অব্যহত রেখেছেন তারা। সরকারী দলের নেতাকর্মীরা গত দুদিন যাবত নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় শোডাউন করছে। সকল ভয়কে পিছনে ফেলে নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তারা। তবে তাদের এই চরম দু:সময়ে এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে কাছে না পাওয়ার আক্ষেপ তাদের সরকারী দলের হুমকি ধামকির চেয়ে বড় হয়ে শরীরে বিঁধছে।