আওয়ামী লীগ সরকার আজিমপুর কবরস্থানে ‘গণতন্ত্রকে কবর’ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গণতন্ত্র কোথায়? এটা তো তারা অনেক আগেই আজিমপুর কবরস্থানে কবর দিয়েছে। সুতরাং আগে বন্ধ কর মুখ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। ‘করোনা সনদ বিক্রি, অর্থ ও মানবপাচার এবং মহাদুর্নীতি প্রকোপ বৃদ্ধির প্রতিবাদ’ শীর্ষক মানববন্ধনের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
রিজভী বলেন, এখন মানুষ যতটুকু মত প্রকাশ করতে যাচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কালো রশির ফাঁশি তার মাথার ওপর ঝুলিয়ে রাখছে। কথা বললেই মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার। সহজে জামিন হবে না। প্রতিবাদ এ সরকার সহ্য করে না। কারণ, প্রতিবাদ করলেই বেরিয়ে আসবে সাহেদ, ডা. সাবরিনার মতো রূপকথা। গত ১২ বছরে সরকার আরও কত সাহেদ-সাবরিনা তৈরি করে রেখেছে তা বলা মুশকিল।
সরকারি হাসপাতালগুলো নরকে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, একইসঙ্গে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে এমনভাবে বিল উঠানো হয় যে মানুষ বেঁচে থাকলে মরার মতো। এদিকে সরকারের কোনও নজর নেই। তাদের কথা হচ্ছে, মানুষ মরলে কি আসে যায়, আমি তো বেঁচে আছি, এটা হচ্ছে সরকারের নীতি।
রিজভী আরও বলেন, মানুষের অনেক দাবির পরে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করেছে এটা মানুষ বিশ্বাস যায় না। এগুলো নাটক। ফেসবুক অনেক ছবি আসছে।
আজকে টিউশন ফি বাতিলের দাবি উঠেছে উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছে না কিন্তু টিউশন ফি পুরোপুরি দিতে হবে। অভিভাবকরা টিউশন ফি বাতিলের দাবি জানিয়েছে কিন্তু সেদিকে সরকার কর্ণপাত করছে না। এখন যদি মেগা প্রজেক্ট তাড়াতাড়ি করার দাবি উঠতো তাহলে তারা খুব দ্রুত শুনতেন। কারণ, এখানে তাদের নেতাকর্মীদের পকেট ভারী হয়। প্রতিবছর মেগা প্রজেক্টের ব্যয় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেড়ে যায়। এই টাকাগুলো তাদের পকেটে যায়। এবারের বাজেটে এসব প্রকল্পের বাজেট কমেনি। লুটপাটের জন্য মেগা প্রজেক্টকে তারা সোনার হরিণের মতো আগলে রেখেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, স্বেচ্ছাসেবক দল উত্তরের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।