কমিটির অপেক্ষায় থমকে আছে না:গঞ্জ বিএনপির কার্যক্রম

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে, যে কোন সময় ভেঙ্গে দেয়া হবে মহানগরের কমিটিও। আর তাই নতুন কমিটির অপেক্ষায় থমকে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সকল কার্যক্রম। এমনিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বা বিশেষ কোন উপলক্ষ ছাড়া কর্মসূচি পালন করেন না নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা। কিন্তু গত কয়েকমাসে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনেও দেখা গেছে তাদের অনীহা। কমিটি না থাকায় জেলা বিএনপির নেতারা আর নতুন কমিটির আশায় মহানগর বিএনপির নেতারা কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলিও ঠিকমতো পালন করছেন না।


সূত্রে প্রকাশ, তিন বছরের ব্যর্থতা আর কমিটি বানিজ্যের অভিযোগে বিলুপ্ত করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি গঠিত কমিটি বিলুপ্ত করা হয় চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যে জেলা বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্তরা সীমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দেন, ফলে বিলুপ্ত করে দেয়া হয় কাজী মনিরুজ্জান ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কমিটি। জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে আলোচনা শুরু হয়ে যায় পরবর্তী কমিটির নেতৃত্ব নিয়ে। কারা আসছেন কমিটিতে তা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সর্বত্রই বিরাজ করছে উত্তেজনা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রে লবিং করতে তাদের সর্ব শক্তি নিয়োগ করছেন, আবার অনেককে দায়িত্ব দিতে চাইলেও ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে যাচ্ছেন।


কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার কয়েকদিন আগ থেকেই নারায়ণগঞ্জের গণমাধ্যমে এ নিয়ে লেখালেখি হচ্ছিলো আর সেখানে জেলা বিএনপির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকারের নাম উঠে আসছিলো। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ মো: গিয়াসউদ্দিনের নামও শোনা যাচ্ছে সভাপতির সম্ভাব্য তালিকায়। বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান অবশ্য নিজ থেকেই থাকতে চাচ্ছেন না দায়িত্বে তবে সে কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ অবশ্য জোড় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কতৃত্ব বজায় রাখতে, সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের যে কোন একটা ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।


জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের তালিকায়ও রয়েছে একাধীক নাম। সোনারগাঁ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নান, বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিব, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বতর্মান কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনসহ বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসছে সাধারণ সম্পদকের তালিকায়।


তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে দেয়া হবে আহবায়ক কমিটি। আর সে আহবায়ক কমিটির দায়িত্ব থাকবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের। ফলে অনেক সিনিয়র নেতা আগ্রহ থাকলেও দায়িত্ব নেয়ার জন্য অপারগতা জানাচ্ছেন বা এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করছেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটি দায়িত্ব নিতে যতটা আগ্রহ নেতাদের, তার চেয়ে অনেক কম আগ্রহ আহবায়ক কমিটির বিষয়ে।
সূত্র জানায়, জেলা বিএনপির মতো মহানগর বিএনপির কমিটিও বিগত সময়ে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আর তাই মহানগর বিএনপির কমিটিও ভেঙ্গে দেবার সম্ভাবনা রয়েছে যখন তখন। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি আসন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় আদালতে চলমান থাকায় আপাতত বহাল রয়েছে এড. আবুল কালাম ও এটিএম কামালের মহানগর বিএনপির বিএনপির ব্যর্থ কমিটি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ