সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। সেই সাথে গিয়াসউদ্দিন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের উস্কানীমূলক অপপ্রচার অবিলম্বে বন্ধের দাবিও জানানো হয়েছে। রবিবার (৩০ এপ্রিল) জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে জড়িয়ে সরকারি দলের অতিউৎসাহী একজন সাংসদ নানা উস্কানিমূলক ও মিথ্যা স্ব-প্রনোদিত বক্তব্য দিচ্ছেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন একজন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষানুরাগী, ক্রীড়াসংগঠক ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ত্ব। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে উক্ত সাংসদ তার পালিত সন্ত্রাসী ও অনুসারীদের দিয়ে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও তার পরিবারের সহ বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়িয়ে নানাভাবে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়ে চলেছেন। যার ধারাবাহিকতায় তিনি কিছুদিন পূর্বে শরীফ হোসেন নামে তারই এক অনুসারীকে দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজি, ভাংচুর ও হামলার একটি অভিযোগ এনে মামলার আবেদন করেন। বিষয়টি চরম ন্যাক্কারজনক ও হাস্যকর। কারণ শুধু নারায়নগঞ্জবাসী নয় সমগ্র দেশবাসী জানে নারায়ণগঞ্জের কথিত গডফাদার কে এবং কাদের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়।
তাছাড়া বিগত দিনগুলোর পত্রিকার রিপোর্ট দেখলেই পরিস্কার হয়ে যাবে নারায়ণগঞ্জে গুম, খুন, চাঁদাবাজিসহ সকল অপকর্মের মদদদাতা কে বা কারা। পাশাপাশি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানদের একজন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এলাকায় আস্থার প্রতীক হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। দলমত নির্বিশেষে এলাকায় সকলের কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা চোখে পড়ার মতো। আর এই জনপ্রিয়তাকে সহ্য করতে না পেরে সরকারি দলের সাংসদ আদাজল খেয়ে তার পেছনে লেগেছেন। শুধু তাই নয় তার ছেলেদের(মোঃ সাদরিল কমিশনার ৫ নং ওয়ার্ড, নাসিক ও ছোট ছেলে মোঃ কায়সার রিফাত, সদস্য সচিব, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদল) জনপ্রিয়তাও কম নয়। তারা পুরো পরিবার মানুষের সেবা কওে চলেছেন অনেক আগে থেকেই। আমরা এমন পরিস্থিতিতে আমরা সরকারি দলের সাংসদকে পরামর্শ দেবো সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য ও জনগনের কল্যানে আত্মনিয়োগ করার জন্য। জনগন ছাড়া ক্ষমতায় থাকার কোন সুযোগ নেই। আর যদি ভেবে থাকেন আবারোও নৈশ ভোটে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করবেন, তবে বলবো দিবাস্বপ্ন দেখছেন। জনগনের পাশে থাকুন, জনগন ভালোবাসবে। অন্যথায় আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।
বার্তা প্রেরক
গোলাম ফারুক খোকন
সদস্য সচিব
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি
