নারায়ণগঞ্জ মেইল: অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও মোহাম্মদ রাজুর হাতেই গেলো সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিবের দায়িত্ব। মাদক ব্যবসায়ী ছাত্রদলের নেতৃত্ব পাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। রাজপথেের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ীকে নেতৃত্ব দেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পদ প্রার্থী হিসেবে মাদক মামলায় ১৫ দিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পাওয়া মো. রাজুর নাম প্রস্তাব করেছিলেন মহানগর ছাত্রদলের নীতিনির্ধারকরা। এমন ব্যক্তিকে যারা গুরুত্বপূর্ণ পদে নাম প্রস্তাব করেছেন তাদের দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কর্মীরা।
ছাত্রদল কর্মীরা ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে বড় হওয়া মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রাজু সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা মাদক মামলার আসামী। সে পাওয়ার হাউজে মামা কাশেমের বাড়িতে বড় হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আদমজী এম.ডব্লিউ কলেজের সামনে থেকে ২০ পিস ইয়াবাসহ রাজুকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসআই কামরুল ইসলাম ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতে চালান দেয়। এই মাদক মামলায় রাজু ১৫ দিনের জেল খেটে জামিন নেয়। এমন একটা ব্যক্তিকে কিনা সিদ্ধিরগঞ্জ ছাত্রদলের সদস্য সচিব করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আবার রাজুর পক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক সিনিয়র সহ-সভাপতি সাফাই গাইছে। তার মানে দাড়ায় তিনি হয়তো রাজু’র কাছ থেকে অবৈধ কোন সুবিধা নিয়েছেন। পুলিশের মাদক মামলায় যেই রাজুকে ভাসমান মাদক ব্যাবসায়ী উল্লেখ করা হয়েছে তার হাতে ছাত্রদলের দায়িত্ব দেয়া মানে দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ। সিদ্ধিরগঞ্জে বহু ত্যাগী স্থায়ী ছাত্রদলের কর্মী থাকার পরও যাদের পছন্দ রাজুর মত মাদক কারবারী তারা কখনোই ছাত্রদলের ভাল চাইতে পারেনা। রাজুকে ছাত্রদলের কোন পদে রাখা মানে সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলকে গলাটিপে হত্যা করা। রাজুর মত বখাটের নাম প্রস্তাব করে সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলে চরম বিশৃঙখলা তৈরি করা হল। মাদকের মামলার আসামী যদি ছাত্রদের নেতা হয় তবে কেউই আর ছাত্রদলে নিজেদের যুক্ত করতে চাইবেনা।
এব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে কর্মীদের সাথে কথা বলছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহম্মেদ। নেতাকর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন কেন্দ্র কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবে না বলে কর্মীদের আশ্বস্ত করেছিলেন। বিস্তারিত জানতে তার মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু। তিনি বলেছিলেন, রাজুর নাম প্রস্তাব করায় কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছে। বিশৃঙখল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।