জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে মহানগর বিএনপির দোয়া

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, যে সময় জাতি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল, জাতি দ্বিগবিদিক হয়েছিল, সেই সময় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি এদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।


বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি নেতা জাকির খানের পক্ষে এবং মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এড. সাখাওয়াত আরও বলেন, যে সময় আওয়ামীলীগ দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল, সে সময় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আর্মিদের ঐক্যবদ্ধ করেছেন, যুব ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ৯নং সেক্টরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যিনি সেক্টর কমান্ডার হিসেবে পরিচিত। উনি পরবর্তীতে জেট ফোর্স গঠন করেছেন এবং দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পরে যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিল তখন শহীদ জিয়াউর রহমানকে বীরউত্তম উপাধি দিতে বাধ্য হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আওয়ামীলীগের উদযাপন কমিটি হয়েছে এবং বিএনপিরও উদযাপন কমিটি হয়েছে, যেখানে আওয়ামীলীগের উদযাপন কমিটিতে কোন সেক্টর কমান্ডার নেই, কোন বীর উত্তম নেই। কিন্তু বিএনপির উদযাপন কমিটিতে কয়েকজন বীর উত্তম ও সেক্টর কমান্ডার রয়েছে। বর্তমান সরকার স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দাবি করেছে। আওয়ামীলীগের চেয়ে বিএনপির ভেতরেই বেশি মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।

সাখাওয়াত আরও বলেন, আজকে সরকার বিএনপিকে ভয় পায়। জিয়াউর রহমানের নামকে ভয় পায়। তাই তারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে। যতই কুৎসা রটানো হোক এদেশের মানুষের হৃদয় থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না।

বর্তমান সরকারের বিষয়ে সাখাওয়াত বলেন, গত ১২ বছর যাবত আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায়। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে, জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হয়েছে এদেশের মানুষ সেটা গ্রহণ করেনি। দেশের সিংহভাগ মানুষ বিএনপির পক্ষেই আছে, বিএনপির পক্ষেই আছেন। ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম এদেশের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার প্র্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও যে সময় আমরা স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো সে সময় এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নাই। আওয়ামীলীগ ভোটের অধিকার হরণ করেছে। এদেশের মানুষ বীরের জাতি, ৭১ সালে যেমন পাকিস্তানকে হটিয়েছিল ঠিক একইভাবে এদেশ থেকে আওয়ামীলীগকে হটিয়ে এদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে, ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মনির হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মৎস্যজীবী দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদুর ইসলাম টুলু, বিশেষ অতিথি জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নাজির মাহমুদ, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম মুছা, মহানগর তাঁতী দলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, জেলা গার্মেন্ট শ্রমিক দলের সভাপতি নুর মোহাম্মদ, মহানগর মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতন, যুগ্ম আহ্বায়ক লিংকন খান, অ্যাডভোকেট রাজিব মন্ডল, যুবদল নেতা সম্রাট হাসান সুজন, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক লিংরাজ খান, ইব্রাহিম আহমেদ বাবু প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ