নারায়ণগঞ্জ মেইল: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন তিনি।
এক বাণীতে তিনি বলেন, আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের বৃষ্টিঝরা শ্রাবণের এই দিনে বৃষ্টির বদলে ঝরেছিল রক্ত। বাংলার ৫৬ হাজার বর্গমাইলের মতো বিশাল জাতির পিতার বুক থেকে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে রক্তগোলাপের মতো ঝরেছিল লাল রক্ত। কিন্তু তার অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী। ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের সেই মহানায়কের অস্তিত্বকে বিনাশ করে। বঙ্গবন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ী। রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ পালিত হচ্ছে জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকী।তিনি বলেন, বাঙালি ও বাংলাদেশের শোকের দিন আজ। ১৯৭৫-এর এই কালো দিনটিতেই জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, আবহমান বাংলা ও বাঙালির আরাধ্য পুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুদের প্ররোচনায় মানবতার দুশমন, ঘৃণ্য ঘাতকরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কিছু বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিকের চক্রান্ত এবং সেনাবাহিনীর এক দল বিপথগামী সদস্যের বুলেটের নির্মম আঘাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন প্রাণ হারান তার প্রিয় সহধর্মিণী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, সেনা কর্মকর্তা শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল এবং দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল।ইতিহাসের এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে সেদিন আরো প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ভাগনে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। এ কারণে আজ বেদনাবিধুর ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর দিন। আগস্ট মাসটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে শোকের মাসে পরিণত হয়েছে আজকের এই দিনটির জন্য।
ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হলেও সেদিন আল্লাহর অসীম কৃপায় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।বাণীতে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা, মহান স্বাধীনতার রূপকার। আসুন জাতীয় শোক দিবসে আমরা জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করি এবং তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আত্মনিয়োগ