নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা না, তারপরেও শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় শোডাউন করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের বিতর্কিত’ কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এদিন তার নির্বাচনী এলাকায় লোকজন নিয়ে মিছিল করেছেন। তবে সরোজমিনে খোরশেদের মিছিল ঘুরে দেখা গেছে সেখানে ১৩ নং ওয়ার্ডের ভোটারের সংখ্যা একেবারেই কম ছিলো, সে তুলনায় বেশি ছিল বহিরাগতদের সংখ্যা। নির্বাচন সিটি কর্পোরেশনের হলেও খোরশেদের মিছিলে অর্ধেক লোক ছিল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা থেকে আগত। তাছাড়াও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে খোরশেদের মিছিলে।
খোরশেদের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, আক্তার হোসেন খোকন শাহ, জুয়েল প্রধান, আমির হোসেন, মাহবুব হাসান জুলহাস, ফতুল্লা যুবদল নেতা ইসমাইল খান ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম, বর্তমান আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস যাদের কেউই ১৩ নং ওয়ার্ডের ভোটার না। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রুপগঞ্জ থেকে আগত প্রচুর লোকজন।
১৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের প্রথম নির্বাচনী শোডাউনেই বহিরাগতদের উপস্থিতি দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ভোটাররা। তাদের মতে, একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে খোরশেদের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। জনপ্রিয়তা হারিয়ে রীতিমতো দেউলিয়া হয়ে গেছেন খোরশেদ। আর তাই শোডাউন করতে বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে নিয়ে আসতে হয়েছে। লোক ভাড়া করে এনে শোডাউন করা যাবে কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হওয়া যাবে না বলে অভিমত স্থানীয় ভোটারদের।