মান্নানের টাকায় সভাপতি তৈমূর, ফের সচল হচ্ছে হাদিয়ার বাক্স

নারায়ণগঞ্জ মেইল: ২০১৬ সালের দিকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে আটক সোনারগাঁ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানকে দেখতে কারাগারে গিয়েছিলেন তৎকালীণ জেলা বিএনপির সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকার। তার পরদিন নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো ‘সোনার ডিম দেয়া রাজহাঁস দেখতে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে তৈমূর’। এবার সেই সোনার ডিম দেয়া রাজহাঁস নিয়েই জেলা বিএনপির দায়িত্বে ফিরছেন এড. তৈমূর- এমনটাই এখন প্রচারিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র। মান্নানের টাকায় ফের জেলা বিএনপির সভাপতির পদ ফিরে পাচ্ছেন এড. তৈমূর আর তৈমূরকে টাকা দিয়ে বশ করে জেলা বিএনপির নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে মরিয়া আজহারুল ইসলাম মান্নান ওরফে বদলী মান্নান।
জানা যায়, জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের ব্যর্থতা ও অপারগতায় জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটির কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। আর সে ক্ষেত্রে সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন এড. তৈমূর আলম খন্দকার এবং সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন সেই সোনার ডিম দেয়া রাজহাঁস আজহারুল ইসলাম মান্নান।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা এ ধরনের আলাপ আলোচনা শুনে জানিয়েছেন ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া। কারন সাবেক সভাপতি থাকাকালে ত্যাগী নেতাকর্মীদের প্রতি তৈমূরের অবহেলা আর অবমূল্যায়নের কথা তারা এখনো ভুলে যাননি। তাছাড়া তৈমূর জেলার সভাপতি হওয়া মানে আবারো ‘হাদিয়ার বাক্স’ খুলে যাওয়া এবং বিভিন্ন পদ পদবী তখন হাদিয়ার পরিমানের উপর নির্ভর করবে বলে অভিমত পুরানো নেতাকর্মীদের। ইতিপূর্বেও তৈমূর একই পদ একাধীকজনকে দিয়েছেন হাদিয়ার বিনিময়ে, আবার অনেককে করেছেন পদচ্যুত। তাই ফের তৈমূর জেলা সভাপতি হওয়ার খবরে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিষয়েও আপত্তি মাঠ পর্যায়ের কর্মী সমর্থকদের। কারন এই মান্নান রাজনীতি করেন টাকার জোড়ে। সামান্য দিন মজুর থেকে শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া আজহারুল ইাসলাম মান্নানের সাথে ‘হাদিয়া ম্যান’ হিসেবে খ্যাত তৈমূরের জুটি জমে গেলে আবারো নিগৃহিত হবেন অসহায় ত্যাগী নেতাকর্মীরা। কারন মান্নান তৈমূরকে ম্যানেজ করে তার সমর্থীত বিতর্কিত লোকজনকে কমিটিতে স্থান করে দেবেন। ইতিপূর্বে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির সাথে সম্পৃক্ত বিতর্কিত অনেক নেতাকে দেখা গেছে মান্নানের পাশে। সুযোগ পেলে তাদেরকে জেলা কমিটিতেও নিয়ে আসবেন মান্নান- এমনটাই আশংকা তৃণমূলের। যার কারনে দিনের পর দিন রাজপথে সরকার বিরোধী আন্দোলন করে আর জেল জুলুম সহ্য করেও বঞ্চিত থাকতে হবে প্রকৃত জিয়ার সৈনিকদের। তাই রাজপথের নেতাকর্মী বান্ধব জনপ্রিয় নেতার হাতেই জেলা বিএনপির দায়িত্ব দেবার দাবী ভুক্তভোগী নেতাকর্মীর।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ