নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কমিটি নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন নাটকীয়তা। দীর্ঘদিন মহানগর যুবদলের দায়িত্বে থাকা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের সীমাহীন ব্যর্থতার কারণে ভেঙে দেয়া হয়েছিল কমিটি। নতুন কমিটির সকল প্রস্তুতি যখন সম্পন্ন তখনই আবার মহানগর যুবদলের কমিটির দায়িত্বভার নিতে চাচ্ছেন পদহীন খোরশেদ। কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আরেকবার মহানগর যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব চেয়েছেন তিনি।
সূত্রে প্রকাশ, মহানগর যুবদলের সভাপতি থাকাকালে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন খোরশেদ। যুবদলের সভাপতি হয়েও যুব দলের ব্যানারে কর্মসূচি পালন না করে নিজের নামে একটি দল গঠন করেছিলেন নাম দিয়েছিলেন ‘টিম খোরশেদ’। আর এই টিম খোরশেদ এর ব্যানারে গত দেড় বছর নানা কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। তাছাড়া দলের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে নেতাকর্মীদের করেছেন বিচ্ছিন্ন। তার কারণে মহানগর যুবদল নানা উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। এরকম হাজারো অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়। নতুনদের নিয়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া যখন প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিলো, এমন সময় খোরশেদ আরেকবার যুবদলের সভাপতি হতে চাচ্ছেন। এমনটাই জানা গেছে যুবদলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র থেকে।
এদিকে খোরশেদের এই অন্যায় আবদারে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে নতুন প্রজন্মের যুবদল নেতৃবৃন্দের মাঝে। দীর্ঘদিন যুব দলের নেতৃত্ব দেয়া খোরশেদ এখন বিএনপির মূল দলের দায়িত্ব নেবেন এমনটাই আশা করেছিলো সকলে কিন্তু আবারও কেনো যুব দলের দায়িত্বে আসতে চাইছেন তিনি, সেটাই এখন যুবদল নেতৃবৃন্দের কাছে বিশাল প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। যুবদলে কি মধু, যে মধুর লোভে খোরশেদ যুবদল ছাড়তেই চাচ্ছে না, সে হিসাব মেলাতে পারছেন না যুবদলের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে সভাপতি করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষনা করে কেন্দ্রীয় যুবদল। কমিটির বাকী সদস্যরা হলেন সিনিয়র সহ সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, সাধারণ সম্পাদক মমতাজউদ্দিন মন্তু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাগর প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু।
আংশিক কমিটি ঘোষনার ৫ মাস পর খোরশেদকেই সভাপতি রেখে ২০১ সদস্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাতিল করে দেয়া হয় মহানগর যুবদলের কমিটি।