নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই। দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু না হলে হয়তো নতুন কমিটি ঘোষনাও হয়ে যেতো এতোদিনে। তবে দেরিতে হলেও ক্ষমতাশীণ দলের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইউনিটের নতুন কমিটি আসতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এবারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে আসছেন দুই জাঁদরেল আইনজীবী। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আনিসুর রহমান দিপুর সম্ভাবনা প্রবল। সেইসাথে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে এক রকম নিশ্চিতই হয়ে আছেন মহানগর আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা। দুই আইনজীবীর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের পথচলা দেখার অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, দীর্ঘ ১৪ বছর পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তিন সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিলো ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর। নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে তৎকালীণ জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল হাই, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হিসেবে সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের নাম ঘোষনা করা হয়। এর প্রায় এক বছর পরে ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর ৭৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
এর আগে ২০০২ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার ইস্কাটনে সোহাগ কমিউনিটি সেন্টারে জেলা আওয়ামী লীগের সভায় আগের কমিটি বিলুপ্ত করে সাবেক সাংসদ এস এম আকরামকে আহ্বায়ক এবং মফিজুল ইসলামকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৬৩ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরদিন এস এম আকরাম জেলা কমিটির আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুল ইসলাম মারা যান ২০১৩ সালে। দুই দফা জাতীয় সংসদ, উপজেলা, ইউপি, পৌর এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জেলা কমিটি ছাড়াই কার্যক্রম চলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের।
অপরদিকে ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এড. খোকন সাহার নাম ঘোষনা করা হয়। এর প্রায় দুই বছর পরে ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।