নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের ব্যস্ততম বঙ্গবন্ধু সড়কের উপরে বেশ কয়েকটি অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ড থাকলেও অদৃশ্য কারনে তা অপসারন করে না প্রশাসন। বিবি রোড থেকে প্রায়ই হকার উচ্ছেদ হলেও বহাল তবিয়তেই থেকে যায় এসব অবেধ সিএনজি ষ্ট্যাান্ডগুলো। আর ব্যস্ততম এ সড়কে নিত্য যানজটের অন্যতম কারন হিসেবেও এই অবৈধ ষ্ট্যান্ডকেও দায়ি করেন অনেকে কিন্তু কার স্বার্থে এদেরকে চিরতরে উচ্ছেদ করা হয়না তা এক জটিল রহস্যই সাধারণ জনগনের কাছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় রয়েছে তিনটি অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ড। একটি চাষাঢ়া গোল চত্বর সংলগ্ন সোনালী ব্যাংক ও সমবায় মার্কেটের সামনে। মূল সড়কের উপরই সিএনজি দাড় করিয়ে এখান থেকে মুক্তারপুরের যাত্রি তোলা হয়। অথচ সোনালী ব্যাংকের সামনে সারদিনই পুলিশ ডিউটি করে। পুলিশের নাকের ডগায় চোখের সামনে অনুমোদনহীন এ সিএনজি ষ্ট্যান্ড চললেও অদৃশ্য কারনে তারা নিরব ভূমিকা পালন করে।
আরেকটি অনুমোদনহীন অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ড হলো চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাবের গেটের সামনে। এখানেও মূল সড়কের উপরে সিএনজি দাড় করিয়ে সাইনবোর্ডের যাত্রি তোলা হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এদের এই অনৈতিক কাজের জন্যে যানজটে নাকাল হতে হয় সাধারণ পথচারীদের অথচ প্রশাসন যেনো দেখেও না দেখার ভান করে থাকে।
অপর অনুমোদনহীন সিএনজি ষ্ট্যান্ডটি হলো মহিলা কলেজের সামনে। এখানেই গোলমালটা হয় সবচেয়ে বেশী। মহিলা কলেজের অগে আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার থেকে পুলিশ ফাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ থাকে এখানে সিএনজির সাড়ি আর সারাক্ষনই লেগে থাকে যানজট। এখান থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক মুখি পঞ্চবটি ফতুল্লার যাত্রি তোলা হয়। সিএনজির পাশাপাশি এখানে দেখা যায় ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকেরও দৌড়াত্ম। আর এদের কারনে চাষাঢ়া শহীদ মিনার থেকে ডাক বাংলোর মোড় পার হতে ১৫/২০ মিনিট সময় লেগে যায়। সারাক্ষণই এখানে একটা জটলা লেগেই থাকে।
এসব অনুমোদিনহীন অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সাধারণ জনগনের কাছ থেকে একটি বক্তব্যই উঠে এসেছে আর তাহলো প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা বহাল তবিয়তে রয়েছেন আর তাই এদের উচ্ছেদ করারও কোন চিন্তা নেই প্রশাসনের।
এ বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সালেহউদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে (০১৩২০০৯০৩১৮) যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।